ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও শুরু করার জন্য সহজ উপায়

কনসিউমার৬৪ এর আজকের আয়োজনে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। সম্পূর্ণ পোস্ট টি মনোযোগ সহ পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন। এখন আসি আসল কথায়, ফ্রিল্যান্সিং এর কথা মনে হলেই সবার মনে একটা প্রশ্ন আসে যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ? বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো ? এবং কিভাবে শুরু করবো ?  ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন পেশা তবে একেবারে স্বাধীন বললে ভুল হবে কারন আপনি কোন না কোন ক্লায়েন্ট এর আন্ডারে কাজ করতে হবে, তবে ধরা বাধা নিয়ম নেই যে আপনাকে রোজ একই সময় কাজ করতেই হবে সেখানে আপনার স্বাধীনতা আছে তাই এটাকে স্বাধীন পেশা বলা যেতে পারে।

আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে আপনার দক্ষতা অনুসারে কাজ করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক এই রকম আরও অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি কাজ করতে পারেন, তবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন জগত যা নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেকটা কষ্ট সাধ্য, তবে নিরাশ হবার কারন নেই কেননা আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হতে পারেন তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি খুব ভালো কিছু করতে পারবেন।

এই ব্লগ পোস্টে, আমরা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আলচনা করার চেষ্টা করবো যাতে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারেন । তাহলে চলুন শুরু করা যাক !

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

1. ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজ যেখানে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন এবং পছন্দ অনুযায়ী সময় ব্যয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে ক্লায়েন্টদের সেটিসফাই করে কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় ? ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালেখি, ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং, এস ই ও, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং এবং আরও অনেক কিছু। মোট কথা সরাসরি কারো অধিনে জব না করে নিজের সময় অনুযায়ী নিজের পছন্দ পছন্দের কাজ করাই আসলে ফ্রিলান্সিং।

2. ফ্রিল্যান্সিং কেন এত জনপ্রিয়?

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এখন অনেকের কাছে জনপ্রিয় ও পরিচিতি হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিং পেশা জনপ্রিয়তা পাওয়ার মূল কারন হল কারো অধিনে না থেকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুবিধা থাকা, ফ্রিল্যান্সিং পেশা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আরও কিছু কারন হল যে এই পেশার কাজ বেশির ভাগ অনলাইনে হওয়ায় ঘরে বসেই কাজ করা যায়

এই কাজের জন্য বাহিরে যেতে হয় না, লেখা পড়ার পাশাপাশি কাজ করা যায়,  ইনভেস্ট অনেক কম যেমন শুধু একটা ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট কানেকশন হলেই কাজ করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ? আপনি ইচ্ছে করলে মোবাইল দিয়েও কাজ শুরু করতে পারেন অনেকেই মোবাইল দিয়েও কাজ করে থাকেন, তবে প্রফেশনালি কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটা ল্যাপটপ থাকতে হবে। প্রাথমিক ভাবে শুরু করার জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। 

3. কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটা হলো বর্তমান চাকরির বাজার, বর্তমানে চাকরি পাওয়া মানে সোনার হরিণের সন্ধান পাওয়ার মতো, প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষর্থী পাশ করে বের হয় বিভিন্ন সেক্টর থেকে কিন্তু সেই হিসেবে কর্মসংস্থান এর সুযোগ হয় না আর সুযোগ হলেই বিভিন্ন কারণে সেই সোনার হরিনের সন্ধান পাওয়া অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।

সেই জায়গা থেকেই ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার আয়ের সুন্দর একটি পাথেয় তবে আপনাকে অবশ্যই কোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী বা প্রফেশনাল হতে হবে।  এখন আপনাকে বেছে নিতে হবে যে আপনি কোন কাজ টি সব থেকে ভালো পারেন সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করলে সফলতা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

4. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে যে বিষয় গুলো ভাবা উচিত?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে নিজের কাজের ধরণ নির্ধারণ করা উচিত। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে হলে আপনাকে নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে আপনি আসলে কি করতে চান বা কোন বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বেশি আছে তার একটি লিস্ট তৈরী করে ফেলুন।

লিস্ট করার পর দেখতে হবে যে ওই লিস্ট থেকে সব থেকে ভালো কোনটা পারেন তার উপর কাজ করলে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে আরেকটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হলো ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে 

আপনাকে ইংলিশ এ কথা বলায় পারদর্শী হতে হবে কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর বেশির ভাগ ক্লাইন্ট ইউরোপ, আমেরিকা বা ভিন্ন দেশের হয় তাই আপনেকে তাদের সাথে ইংলিশ এ কথা বলেই কাজ করতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে এই বিষয়টা মাথায় রেখে এগুতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আরো একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হলো রাত জেগে কাজ করতে হবে তবে এই রাত জাগার বিষয়টি তখনি আসবে যখন আপনি বাংলাদেশ অবস্থান করবেন কারণ বাংলাদেশ আর ইউরোপ সময়ের বড় একটা ডিফারেন্স থাকে।

5. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে  প্রয়োজনীয় কিছু জ্ঞান ও দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হবে যা আপনাকে সফল হতে সহায়তা করবে। যে কোনো একটা টপিক নিয়ে কাজ শিখে শুরু করতে পারেন, যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট লেখা, ট্রান্সক্রিপশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।

আরো পড়ুন: ওয়েবসাইট কি এবং ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন?

আপনি যদি নতুন হন এবং কোনও দক্ষতা না থাকে, তবে অনলাইনে সহজেই কোর্স করে নিতে পারেন। এই কোর্সগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফলভাবে প্রবেশ করার জন্য সাহায্য করবে।

আপনি আপনার দক্ষতা যাচাই করার জন্য আস্তে আস্তে মার্কেট প্লেছ বাছাই করে কাজ শুরু করতে পারেন, একেবারে ১০০% জেনে কাজ শুরু করতে হবে তেমন কোনো কথা নেই তবে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকলেই হবে।

6. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রস্তুতি

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। যেমন সুন্দর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা যা আপনার কাজের দক্ষতা বা স্কিলস সবার মাঝে তুলে ধরতে পারেন। একটি সুন্দর পোর্টফোলিও আপনাকে বাইয়ার এর মন জয় এবং কাজ পেতে সাহায্য করবে।

কাজ করতে যা যা লাগবে তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। যেমন একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেই সাথে একটা ফোন নিতে পারেন যাতে যে কোন সময় যোগাযোগ করতে পারেন।

কোন সময় টা আপনার কাজের জন্য ভালো সেই সময়  নির্ধারণ করুন এবং নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত কাজ করার চেষ্টা করুন । ফ্রিল্যান্সিং করার সময় সময়কে খুবই মূল্যায়ন করবেন এবং যথেষ্ট সতর্ক থাকবেন কারণ যখনই বায়ার নক দেবে আপনি যেন তাকে সঠিক সময়ে উত্তর দিতে পারেন তাতে আপনার প্রতি বায়ার এর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে যা আপনাকে পরবর্তী কাজ পেতে অনেক হেল্প করবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

7. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্ম

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক সাইট আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর লিস্ট দেয়া হলো আশা করি আপনদের উপকারে আসবে।

1. Upwork: আপওয়ার্ক বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় সাইট এর মধ্যে একটি এর বিশাল বাযারে আপনি চাইলেই নিজেকে তুলে ধরতে পারেন এবং এখান থেকে অনেক ইঙ্কাম করতে পারেন। তবে এখনে কাজ পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রফেসনাল হতে হবে অর্থাৎ আপনি যে কাজের জন্য এপ্লাই করতে চান সেই কাজে আপনি যেন সকল কিছু জানেন সেই ভাবে নিজেকে তরি করতে হবে। 

এখানে কাজ বিড করতে হলে আপনার প্রোফাইল অবশ্যই ফুল ফিল করতে হবে মানে আপনার প্রোফাইল ৯০ % টু ১০০% করতে হবে তবেই আপনি কাজে বিড করতে পারবেন। তবে কাজ পেতে হলে ১০০% প্রোফাইল এলিজিবল করতেই হবে কারন প্রোফাইল ফুল ফিল না করলে কেউ কাজ দিতে চাই না।

2. Fiverr: ফাইভার এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে নতুন্দের জন্য অনেক অনেক ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম।  এখেনে কাজ পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটা গিগ ওপেন করতে হবে তারপর সেই গিগ দেখে বায়ার আপনাকে হায়ার করবে। যার গিগ রেঙ্ক এ থাকবে তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে।

 Upwork এবং Fiverr এর মধ্যে একটা পার্থক্য আছে তা হলো Upwork এ বায়ার তার কাজ নিয়ে পোস্ট করে এবং সেই কাজ যে করতে পারবে বলে মনে করে তারা তারা ওই কাজের জন্য বিড করে তারপর বায়ার ইন্টারভিউ নিয়ে যাকে পছন্দ হয় বা যে কাজটি ভালো ভাবে পারবে বলে মনে হয় তাকেই কাজ টা দিয়ে দেয়। 

আর Fiverr এ বায়ার কোনো কাজের পোস্ট করে না এখানে আপনি যে কাজ পারেন সেই কাজের গিগ বা প্রোফাইল তৈরী করে রাখবেন বায়ার সেই কাজের লোক যখন তার লাগবে তাকে তিনি নক দেবেন এবং আপনার সাথে কথা বলে যদি মনে হয় আপনি কাজটি করতে পারবেন তবেই আপনাকে কাজ টি দেবে।  তাই  Fiverr এ কাজ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সুন্দর একটি গিগ তৈরী করতে হবে যাবে আপাকে সবাই খুঁজে পায়।  তবে সব ক্ষেত্রেই বায়ার এর সাথে গুড রিলেশন ও কাজে দক্ষ হলে অনেক অনেক কাজ পাওয়া যায়। 

3- Freelancer.com

4- PeoplePerHour.com

5- 99Designs.com

আরো কিছু সাইট আছে যা আপনি যখন জানবেন তখন এরকম অনেক সাইট এ কাজ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন : ইউটিউব চ্যানেল দিয়েই আয় শুরু করতে পারেন

8. কিভাবে কাজের সঠিক রেট নির্ধারণ করবেন?

আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হলো আপনার কাজের  সঠিক রেট বা প্রতি ঘন্টায় আপনি কত টাকা বা কত ডলার চার্জ করবেন তা  নির্ধারণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সঠিক রেট নির্ধারণ করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু টিপস মনে রাখতে পারেন। 

1. প্রথমেই আপনি আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে একটা রেট নির্ধারণ করুন। আপনি রোজ কতঘন্টা কাজ করতে পারবেন এবং আপনার প্রতিদিনের খরচ কত সেটা বিবেচনায় নিয়ে এমন একটা রেট নির্ধারণ করা উচিৎ যাতে আপনার সুন্দর একটা ইনকাম শুরু হয় এবং যাতে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে একটা সময় ফুল টাইম জব হিসেবে নিতে পারেন।

2. আপনি কি ধরণের কাজ করবেন রেট নির্ধারণ করাটা তার উপর কিছুটা নির্ভর করে, সেই ক্ষেত্রে নতুন হিসেবে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার কত করে প্রতি ঘন্টা নেই তা দেখেও একটা ধারনা নিতে পারেন। 

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে চান তাহলে আপনাকে ওই ওয়েব ডিজাইন টি কমপ্লিট করতে কত সময় লাগবে তার উপর ডিপেন্ড করে একটা প্রাইস নির্ধারণ করবেন, আবার যদি আপনি লোগো ডিজাইন করেন তাহলে ওই লোগোর কাজ টি শেষ করতে কত সময় লাগবে তার উপর ভিত্তি করে রেট নির্ধারণ করবেন এভাবে প্রতিটা কাজের হিসাব করে কাজ করতে হবে।  

আপনি যদি নতুন হন তাহলে আমাদের পরামর্শ থাকবে যে নতুন হিসেবে আপনি মিনিমাম প্রতি ঘন্টা ৫ ডলার হিসেবে আপনার রেট নির্ধারণ করতে পারেন, পরে যখন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হবে তখন আপনি নিজে নিজেই আপনার রেট বাড়াতে পারবেন 

যদি ৫ ডলার করে প্রতি ঘন্টা কাজ করেন তাহলে রোজ যদি ৪ ঘন্টা কাজ করেন সেই হিসেবে ৪x ৫=২০ ডলার তাহলে মাসে যদি একটিভ থাকেন এখন সব সময় কাজ পান তাহলে টোটাল হিসেবে টা হবে ২০x ২৫ = ৫০০ ডলার যা টাকায় আসে ৫০০x ১০৫= ৫২,৫০০ টাকা প্রায়। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে ইনকাম ভালোই হবে।  

9. স্কিলসেট উন্নয়ন করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে ? আসলে কত টাকা লাগে এর কোন নির্দিষ্ট কথা নেই, তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের স্কিলসেট বা নিজের কাজের দক্ষতা উন্নয়ন করা। তা না করলে কাজ পাওয়া খুব কঠিন হতে পারে। তবে স্কিলস বা দক্ষতা অর্জন করা একেবারে সহজ নয় এর জন্য অবশ্যই আপনাকে যথেষ্ট সময় এবং ধর্য্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে।  দক্ষতা উন্নয়ন করার জন্য কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো।

অনলাইন কোর্স করুনঃ আজকাল ইন্টারনেটে অসংখ্য কোর্স পাওয়া যায়। এই কোর্সগুলো আপনার স্কিলস বা দক্ষতা উন্নয়ন করতে সাহায্য করবে, অনলাইনে পেইড এবং ফ্রি দুটোই খুঁজে পাবেন। কোর্স গুলো খুঁজে পেতে আপনি যে ধরণের কাজ করতে চান তা ইউটিউবে লিখে সার্চ করুন ওই রিলেটেড অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন যা দিয়ে আপনি প্রাথমিক ভাবে শিখতে পারবেন।

10. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হল বিষয় নির্বাচন বা আপনি কোন কাজ করতে চান তা নির্ধারণ করা। কারন আপনার নিজের দক্ষতা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনার সফলতা। আপনি যে বিষয়ে ভাল বুঝেন বা জানেন সেই বিষয় নির্বাচন করতে পারলে  আপনার ক্যারিয়ারের সফলতা পেতে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার পছন্দের বিষয় নির্বাচন করার পর আপনার কাজ হবে নিজেকে প্রস্তুত করা। আপনার প্রোফাইল তৈরি করা যা দিয়ে আপনি ক্লায়েন্টদের কাছে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারেন। আপনার নিজের সুন্দর ও প্রফেশনাল একটি  প্রোফাইল বা পোর্টফলিও ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলে কাজ পেতে সহজ হবে।

আজকের যে প্রশ্ন ছিল যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো ? ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আজকের এই সহজ গাইড গুলো আশা করি  আপনাদের কাজে আসবে। এবং আমরা আরো আশা করছি যে আমাদের নির্দেশনাগুলি আপনাদের নতুন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে অনেকটা সহায়তা করবে। এই গাইডে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন করবেন, কীভাবে শুরু করবেন, কীভাবে কাজ খুঁজবেন এবং কোথায় কাজ পাবেন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।  আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সফল হোক সবার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

One Response

  1. www.google.com August 9, 2023

Leave a Reply