প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাই কিন্তু কিভাবে

প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাই কিন্তু কিভাবে (professional blogger)

আপনি কি ক্যারিয়ারকে ভিন্নভাবে সাজাতে চাচ্ছেন ?

একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠনের কথা ভাবছেন?

 

সময় পরিবর্তনশীল।সময়ের এই পরিবর্তনশীলতায় পরিবর্তন ঘটে মানুষের রুচি-বোধ এবং চিন্তা-বোধের। এক সময় মানুষ যেমন কারো অধীনে চাকরি করে নিজের ক্যারিয়ারকে  প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছে পোষণ করতেন ,এখন অন্যের অধীনে কাজ না করে স্বাধীন বা মুক্তপেশার দিকে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার স্বপ্ন দেখছে অনেকেই। তাই সময়ের এবং যুগের চাহিদা বহুল পেশা  হিসেবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ হিসেবে পরিচিত হল ব্লগিং। তাই কিভাবে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়া যায় বিস্তারিত থাকছে আজকের আলোচনায়। 

 

প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাই

প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাই

  • ব্লগিং কি 

নিজের সৃষ্টিশীলতা এবং নিজের চিন্তাভাবনাকে কাজের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত করার এক অন্যতম মাধ্যম হল ব্লগিং। ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার লেখনীর দক্ষতায় নিজের মেধার এবং দক্ষতার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ পাবেন। মূলত সম সাময়িক কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তিতে করে কিংবা কোন ক্লায়েন্ট এর চাহিদার উপর ভিত্তি করে লেখনীর মাধ্যমে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে পরিপূর্ণ তথ্যের আলোকে সাজিয়ে তোলার মাধ্যমকে বলা হয় ব্লগিং। 

  • প্রফেশনাল ব্লগার মানে কি ?

নিজের সৃষ্টিশীলতাকে লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার এক অন্যতম মাধ্যম হল ব্লগিং। ব্লগিং এর মাধ্যমে যেমন একজন লেখক নিজের চিন্তাশক্তি ফুটিয়ের তুলতে পারে।  ঠিক তেমনি করে একজন পাঠক ব্লগ পরে নিজের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাতে পারে সেই সাথে  নিজের অজানা বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। 

একসময় ব্লগিংকে মানুষ তার শখের বসে বেছে নিলেও বর্তমান সময়ে ব্লগিং হয়ে উঠেছে ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় এবং চাহিদা-বহুল পেশা হিসেবে। মূলত একজন ব্লগার  ব্লগিংকে শখের বসে না নিয়ে এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে তার আয়ের ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা মাধ্যমকে বলা হয় প্রফেশনাল ব্লগার। 

  • একজন প্রফেশনাল ব্লগারের কি ধরণের দক্ষতা প্রয়োজন?

একজন সাধারণ ব্লগার এবং একজন প্রফেশনাল ব্লগার এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। একজন ব্লগার শখের বসে ব্লগিং করলেও একজন প্রফেশনাল ব্লগার কিন্তু শখের বসে না বরং তার পেশা হিসেবে ব্লগিংকে বেছে নিচ্ছে । ব্লগিং বিষয়টা অনেকের কাছে বেশ সহজ মনে হলেও এটি মোটেও সহজ নয়। কারণ এই সেক্টরে তুমুল প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাই আপনি যদি ব্লগিংকে প্রফেশনালি নিতে চান তাহলে আপনাকে যুগের চাহিদা অনুসারে নিজেকে আপডেটেড রাখতে হবে। কারণ নতুন নতুন নিয়মের সাথে পরিচয় না থাকলে আপনি কখনোই এই সেক্টরে সফলতার মুখ দেখতে পারবেন না। বরং শুধুমাত্র সাধারণ একজন ব্লগার হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। 

 বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিতে বেশ বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। আমরা যেহেতু প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাই তাই আপনাকে এই সেক্টরে আপডেটেড থাকতে হবে তাই নতুন কি কি পরিবর্তনগুলো এসেছে আপনাকে সবসময় সে ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখতে হবে। একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাইলে আপনাকে যে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে তা হল-

  • ভাষাগত পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা 
  • নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ 
  • তথ্যবহুল  ব্লগিং 
  • বিশেষণ-ধর্মী লেখা উপস্থাপনা 

আরো পড়ুন : মেয়েদের ঘরোয়া ব্যবসা (সেরা ৭টি আইডিয়া )

প্রযুক্তিগত দক্ষতা 

  • ইন্টারনেট ব্রাউজিং
  • সফটওয়্যার জ্ঞান 
  • সুপার-ফাস্ট টাইপিং স্কিল 
  • এসইও 
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং 

একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে এই যাত্রায় প্রয়োজনীয় দক্ষতাসমূহ সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক –

  • ভাষাগত পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা 

আপনি যখন প্রফেশনাল-ভাবে ব্লগিং শুরু করবেন তখন আপনাকে আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স সম্পর্কে জানতে হবে। সেই সাথে যখন কোন বিষয় নিয়ে লিখবেন আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স করা হবে সে সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। তাই টার্গেট অর্ডিয়েন্স এর কথা মাথায় রেখে আপনার ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। 

আপনি যে ভাষায় ব্লগিং শুরু করুন না কেন ব্লগিং এর যেন আপনার ভাষাগত দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলা খুব বেশি প্রয়োজন। আপনি আপনার ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োগ যত বেশি করবেন আপনার ব্লগ পরে যেমন পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করবে ঠিক তেমনি আপনার ক্লায়েন্টেরও আপনার সাথে কাজ করে আনন্দ পাবে। তাই প্রফেশনালি ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভাষাগত পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা বিকশিত করা প্রয়োজন। 

  • নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ 

ব্লগিং পেশাকে আপনি সহজ মনে করলেও এই পেশাটি ঠিক ততটা সহজ নয়। কারণ প্রতি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার নামই হল ব্লগিং। ব্লগিং এর জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়বস্তু নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে হবে। যে বিষয়ে আপনার পূর্বে থেকে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা নেই সেই বিষয় নিয়ে কাজ করা ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জিং বুঝতে পেরেছেন কি? তাই সবসময় নতুন নতুন বিষয়গুলোকে জানার জন্য এবং তা নিয়ে লেখার আগ্রহ গড়ে তুলন। এতে করে কঠিন বিষয়টিও বেশ সহজ হয়ে উঠবে এবং সেই সাথে আপনার জ্ঞান বাড়বে। 

  • তথ্যবহুল  ব্লগ  

কখনো ভেবেছেন কি একটি ব্লগ পাঠকরা কেন পড়তে আসে? অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার লক্ষে। একজন আপনি ব্লগ লেখার পূর্বে আপনার পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন্তা করবেন যে  একজন পাঠক হিসেবে আপনার ব্লগে যে ধরণের প্রয়োজন তা রয়েছে কিনা। যদি পুরো তথ্যগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আপনার পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগ তথ্যবহুল হয়ে উঠবে এবং সেই সাথে আপনার পাঠকরা পরে নতুন তথ্যসমূহ খুঁজে পাবে। তাই ব্লগিংকে পাঠকের জন্য উপভোগ্য করে তুলতে হবে অবশ্যই  তথ্যবহুল কন্টেন্ট উপস্থাপনা করার চেষ্টা করুন। 

  • বিশেষণ-ধর্মী লেখা উপস্থাপনা 

একজন পাঠক যখন আপনার ব্লগ পড়তে আসবে যখন তার অজানা বিষয় সম্পর্কে জানার এবং শেখার ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকবে। তাই একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে যখন লেখা শুরু করবেন আপনি আপনার লেখাকে বিশ্লেষণ-মুখী ভাবে উপস্থাপন করুন। এতে পাঠক যেমন তার প্ৰয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবে ঠিক তেমনি করে আপনার লেখার ফ্যান ফলোয়ার সংখ্যা বাড়বে। একজন প্রফেশনাল ব্লগারকে অবশ্যই তার পাঠকদের ধরে রাখার কৌশল সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে হবে। 

প্রযুক্তিগত দক্ষতা 

  • ইন্টারনেট ব্রাউজিং 

ব্লগিং বিষয়টা পুরাপুরি প্রযুক্তির সাথে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট। কারণ একটি ব্লগ লেখা থেকে শুরু করে ব্লগ পাবলিশ এবং ব্লগ আপনার পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে হলে আপনাকে সবার আগে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে  দক্ষ হতে হবে। আপনি যত বেশি দক্ষ হবেন ঠিক তত বেশি আপনি কাজ করতে পারবেন। 

  • সফটওয়্যার জ্ঞান 

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার  বিল্ড আপ করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার জ্ঞান থাকতে হবে । যেহেতু আপনি প্রফেশনালি ব্লগ লিখবেন  তাই লেখার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা গুগল ডকস আপনি ব্যবহার করবেন । এছাড়াও ইংলিশ ব্লগিং এর ক্ষেত্রে গ্রামারলি নামক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ড-প্রেস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা অর্জন করতে হবে। 

  • সুপার-ফাস্ট টাইপিং স্কিল

একজন ব্লগারের ক্ষেত্রে এক অত্যাবশ্যকীয় স্কিল হল টাইপিং স্কিল। আপনার যদি সুপার ফাস্ট টাইপিং স্কিল থাকে তাহলে আপনি দ্রুত আপনার কাজ সম্পন্ন  করতে পারবেন। তাই একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে আপনাকে সুপার-ফাস্ট টাইপিং স্কিলের অধিকারী হতে হবে। 

  • এসইও 

একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে হলে আপনাকে সবার আগে যে টেকনিক্যাল দক্ষতা  প্রয়োজন তা হল এসইও। অপটিমাইজেশন সার্চ ইঞ্জিন বা এসইও এর মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন। যা খুব সহজে আপনার পাঠকগণ উপযুক্ত কি-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে সার্চ দিলে  খুঁজে পাবে। তাই ব্লগিংকে যদি আপনি প্রফেশনালি নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

  • ব্লগ /কন্টেন্ট মার্কেটিং 

আপনি খুব ভালো ব্লগ করেন কিন্তু আপনার যদি কোন ধরণের ফলোয়ার না থাকে তাহলে এই ব্লগ লেখার কোন অর্থই হয় না। আপনি ব্লগ লিখবেন তা যদি রিডারদের কাছে না পৌঁছায় তাহলে আপনি কোনভাবেই আপনার ব্লগিং এ বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারবেন না। তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান আপনাকে অবশ্যই আপনার লেখার কিংবা ব্লগের মার্কেটিং করতে হবে। 

  • Professional Blogger হবার ক্ষেত্রে ধাপসমূহ কি কি 

একজন ব্লগার থেকে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হবার যাত্রাটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়। তাই এই যাত্রায় একজন প্রফেশনাল ব্লগার হবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক –

  • ব্লগের ক্ষেত্রে নিশ এবং বিষয় নির্ধারণ 

একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগের জন্য উপযুক্ত নিশ নির্ধারণ করতে হবে । আপনার পাঠকদের চাহিদা এবং প্রফিটেবল দিকটি নির্ধারণ করে আপনার ব্লগের জন্য নিশ এবং বিষয় নির্ধারণ করুন। 

এছাড়াও আপনি যদি কোন টেক রিলেটেড নিশ এবং সাবজেক্ট সিলেক্ট করেন তাহলে আপনি গুগল এডসেন্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন এডভারটাইজ মাধ্যম থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। যে ধরণের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে সে সকল বিজ্ঞাপন এর cpc বা Cost Per Click এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। 

 তবে আপনি যে ধরণের নিশ বা বিষয় সিলেক্ট করুন না কেন অবশ্যই এমন কোন নিশ কিংবা বিষয় সিলেক্ট করবেন যে প্রফিটেবল এবং সেই সাথে আপনি এই নিষে লিখে অভ্যস্ত।  তা না হলে নতুন কোন বিষয় যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনার লেখার ক্ষেত্রে বেশ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সবসময় এমন নিশ কিংবা বিষয় নির্ধারণ করবেন যা নিয়ে আপনি পূর্বেও কাজ করেছেন। 

  • গুরুত্ব দিন ব্লগ এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট এর দিকে 

একজন প্রফেশনাল ব্লগারের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়  গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনি একজন ব্লগার। কিন্তু আপনি যখন শখের বসে ব্লগিং করবেন তখন আপনার পছন্দের সময় অনুযায়ী একটি ব্লগের পেছনে সময় অতিবাহিত করবেন। কিন্তু আপনি যখনি এই ব্লগিংকে প্রফেশনাল হিসেবে নিবেন আপনাকে নির্দিষ্ট টাইম সেট করে কাজ করতে হবে। ধরুন একজন ব্যক্তি অফিস টাইম যেভাবে মেইনটেইন করে আপনাকেও তখন ব্লগিং এর পেছনে সে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আপনি একইসাথে অনেকগুলো ব্লগ একদিনে সম্পন্ন করতে পারবেন।

কনটেন্ট কোয়ালিটি- ব্লগ ম্যানেজমেন্ট এর দিকে বেশি নজর দিতে গিয়ে যদি আপনি আবার কনটেন্ট কোয়ালিটি ঠিক না রাখেন তাহলে কিন্তু আপনি এইদিকে ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন না। তাই আপনার একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর পাশাপাশি আপনাকে কনটেন্ট কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে। 

প্রফেশনালি ব্লগিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ব্লগ পাবলিশ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ব্লগ পাবলিশ এর জন্য আপনাকে  নির্দিষ্ট টাইম বেছে নিতে হবে। নির্দিষ্ট টাইম অন্তর অন্তর ব্লগ পোস্ট করে আপনার পাঠকদের নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে হবে। 

  • ব্লগকে বিজনেস হিসেবে নিন 

আপনি যখন প্রফেশনালি ব্লগ রাইটিং করবেন আপনার ব্লগের মাধ্যমে আপনার পাঠকদের সবসময় এনগেজ করে রাখতে হবে। এভাবে যেমন আপনার রিডার বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি করে দিনশেষে আপনার লাভ হবে। আপনি যখন প্রফেশনালি ব্লগিংকে বিজনেস হিসেবে বেছে নিবেন তখন আপনি ব্লগিংয়ে প্রচুর বেশি সময় দিতে হবে। এটি বিজনেকে দাঁড় করাতে ঠিক যে ধরণের পরিশ্রম করতে হয় আপনাকেও ঠিক সে ধরণের পরিশ্রম করতে হবে। 

তাই ব্লগিংকে বিজনেস হিসেবে নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর উন্নতির পেছনে যথেষ্ট পরিমাণ সময় অতিবাহিত করতে হবে। বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর দিকে নজর দিতে হবে। তবেই আপনি এটিকে বিজনেস হিসাবে দাঁড় করতে সক্ষম হবেন। 

ব্লগকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন

ব্লগকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন

  • ব্লগকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন 

একজন প্রফেশনাল ব্লগারদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনি priyocareer নামক ব্লগিং সাইটের নাম শুনলেই বুঝতে পারবেন যে এটি একটি ব্লগিং সাইট। কারণ এরা নিজেদের ব্র্যান্ডিং এভাবে তৈরি করে নিয়েছে। তাই এই সেক্টরে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিংকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

ব্লগিংকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্লগিং কমিউনিটি এবং আপনার রিডারদের পাশাপাশি আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের  দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান গুলো বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। তাই আপনাকে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে হলে অবশ্যই ব্র্যান্ডিংয়ের দিকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে।  

  • গুরুত্ব দিন পাঠকের চাহিদার দিকে 

একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাঠকদের মতামতের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার ব্লগিংয়ের এক্ষেত্রে সব সময় কমেন্ট সেকশনের দিকে নজর দিন। একজন রিডার কি চাচ্ছে বা বেশিরভাগ রিডার যেভাবে চাচ্ছে আপনি যদি সে ভাবে আপনার ব্লগকে সাজিয়ে তুলেন তাহলে আপনার রিডারদের আকৃষ্ট করা বেশ সহজ হবে। তাই সবসময় আপনার রিডারদের মতামতকে প্রাধান্য দিন। তাদের সাজেশনগুলো আপনার ব্লগে যুক্ত করে আপনার ব্লগকে চমকপ্রদ এবং উপভোগ্য করে তুলে ধরুন। 

  • জ্ঞান আরোহণ করা 

শেখার কোন শেষ নেই। কথাটি একদম পুরোপুরি সত্য। আপনি যে পেশায় যুক্ত হন না কেন আপনি কখনোই শেখার আকাঙ্ক্ষা শেষ করতে দিবেন না। ব্লগিং একটি সৃজনশীল পেশা। তাই এই সেক্টরে আপনি যখনি প্রফেশনালি কাজ করতে চাইবেন আপনি তখন আপনাকে অবশ্যই নানান বিষয় জ্ঞান আরোহণ করার দক্ষতা থাকতে হবে। 

একজন ব্লগার সব বিষয়ে দক্ষ না হতেই পারে। কিন্তু একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর শেখার মানুষিকতা থাকতে হবে। কারণ আপনি যত বেশি পরিমাণে শিখতে পারবেন ঠিক ততবেশি পরিমাণে আপনার ব্লগিংয়ে বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারবেন। তাই অবশ্যই ব্লগিংকে প্রফেশনালি নিতে হলে নিজের মাঝে শেখার মানসিকতা তৈরি করুন। 

  • শেষ কথা 

প্রথমেই বলেছি যে প্রফেশনালি ব্লগিং ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে আপনার যাত্রাটা এতটাও সহজ নয়। তাই নিজের মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার মানুষিকতা তৈরি করুন। আশা করি যারা ব্লগিংকে প্রফেশনালি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে আজকের কিভাবে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়া যায় তা বেশ সাহায্য করবে।

Leave a Reply