ইউটিউব চ্যানেল দিয়েই আয় শুরু করতে পারেন

ইউটিউব চ্যানেল
ইউটিউব চ্যানেল

ইউটিউব চ্যানেল দিয়েই আয় শুরু করতে পারেন!

অনলাইন ইউটিউব থেকে আয় করতে চান? তাহলে জেনে নিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপঃ

প্রথমেই আসি ইউটিউব কি

ইউটিউব হলও একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মুলত আমরা ভিডিও কন্টেন্ট দেখে থাকি এর সূচনা হয়েছিলো ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫ সালে প্রায় ১৬ বছরের উপরে।

এক জরিপে দেখা গেছে,যে সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ কোটি ভিডিও মানুষ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল Youtube Channel এ দেখে থাকে। জরিপে আরো বলা হয়েছে যে, একজন মানুষ ইউটিউবে যেই ভিডিও গুলো দেখে থাকে তার গড় সময়কাল প্রায় ৪০ মিনিট। অর্থাৎ আপনার ভিডিও বা যে কোনো বিষয়ের উপর ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আর তাই সেই সুবাদে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান গুলো ইউটিউবের এই বিশাল সংখ্যক দর্শকের এই মার্কেট টাকে কাজে লাগাচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ইউটিউব আজ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী মাধ্যম হিসাবে প্রচারনীর মর্যাদা পাচ্ছে। আর এর ফলে যে কেউ ঘরে বসেই অনলাইনে ইউটিউব থেকে একটা আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। ঘরে বসে থাকা বেকার পুরুষ ও মহিলাদের জন্যও আয়ের একটি সহজ মাধ্যম হিসাবে ইউটিউব চ্যানেল বর্তমানে একটি জায়গা দখল করে আছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এই ইউটিউব চ্যানেল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা পার্ট বা অংশ।

ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম

ইউটিউব চ্যানেল এর সুন্দর একটি নাম আবশ্যক , যে কোনো নামেই চ্যানেল খোলা যায় কিন্তু নামের সাথে কাজের মিল থাকলে অনেকটা বেনিফিট পাওয়া যায় , যেমন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম দেখেই অনেকে বুঝতে পারবে বা ধারণা করতে পারবে যে আপনি কি নিয়ে কাজ করছেন বা আপনার কন্টেন্ট এর বিষয় কি হতে পারে, তাই ইউটিউব চ্যানেল এর সুন্দর একটি নাম খুবই জরুরি, এবার আসুন কিভাবে একটি সুন্দর নাম পছন্দ করবেন তা দেখে নেই।

১- আপনার চ্যানেল এর নাম আপনার কন্টেন্ট এর ধরন অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করুন।
২- এমন একটি নাম রাখবেন যাতে আপনার ভিউয়ার্সদের মনে রাখতে সহজ হয়।
৩- চ্যানেল এর নাম ছোট রাখার চেষ্টা করতে হবে ১ বা ২ শব্দের মধ্যে রাখতে পারলে ভালো হবে।
৪- আপনার চ্যানেল এর নামের বানান এর দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে যাতে লিখে সার্চ দিতে সহজ হয়।
৫- তবে যাই বলি না কেনও নামের ক্ষেত্রে ইউনিক নামের বিকল্প নেই তাই নাম টা ইউনিক হওয়া জরুরি তাতে সার্চ দিলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর নামটাই প্রথমে সবার সামনে আসবে।

ইউটিউব চ্যানেলের নাম সমূহ

কিভাবে সিলেক্ট করবো
টেকনিক্যাল চ্যানেল এর নামের ক্ষেত্রে টেক – Tech লিখাটা রাখলে ভালো হয়, টেক লিখার সাথে আরো কিছু যুক্ত করবেন।
আবার ফানি চ্যানেল এর জন্য ফানি – Funny লিখাটা রাখলে ভালো হয়, ফানি লিখার সাথে আরো কিছু যুক্ত করবেন।
বিজনেস চ্যানেল এর নামের জন্য বিজনেস – Business লিখাটা রাখলে ভালো হয়, বিজনেস লিখার সাথে আরো কিছু যুক্ত করবেন।
আসল কথা হলও যে বিষয়েই কাজ করেন সেই রিলেটেড নাম রাখার চেষ্টা করবেন তবেই আপনার চ্যানেল এর জন্য ভালো হবে।

উদাহরণ স্বরূপ আমি কিছু নাম দিলাম আপনারা দেখতে পারেন বা আইডিয়া নিতে পারেন
ফানি চ্যানেলের নাম
ফানি বয়
ফানি টিউব
ফানি জোকস
ফানি ফিল্ড
ফানি হাউস

টেক চ্যানেলের নাম
টেক স্টার
টেক টাইগার
টেক বয়
টেক ওসান
টেক স্কাই
টেক রয়েল

ইসলামিক চ্যানেলের নাম
আলোর পথে
আলোকিত মানুষ
আলোকিত ভুবন
সত্যের পথে
পরকালের কথা

বিজনেস চ্যানেলের নাম
ব্যবসাইক খবর
বিজনেস গুরু
উদ্যোক্তার কথা
রিয়াল বিজনেস
পাইকারি ব্যবসা

এভাবেই যে কোনো চ্যানেলের নাম খুজার সময় একটু সময় নিয়ে ভেবে চিনতে নাম সিলেক্ট করবেন, কারণ নাম বার বার পরিবর্তন করা যাবে না তাই একটু সময় নিয়ে আপনার বিজনেস বা যা নিয়ে কাজ করবেন সেই মোতাবেক নাম রাখলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রধানত দুই ভাবে আয় করা যেতে পারে
১- এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়
২- লোকাল স্পন্সর এর মাধ্যমে আয়

এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়
ইউটিউব থেকে আপনার আয় হবে মুলত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এর মানে হলো আপনি আপনার ইউটিউব এ আপনার তৈরিকৃত কন্টেন্ট বা ভিডিও আপলোড করবেন তা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে সেই ভিডিওর উপর ইউটিউব বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেবে সেই বিজ্ঞাপনে যখন কোন ভিউয়ার বা দর্শক ক্লিক করবে বা দেখবে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন এই হলও মূলত এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়।

লোকাল স্পন্সর এর মাধ্যমে আয়
ইউটিউব Youtube Channel থেকে আপনি আরেক ভাবে আয় করতে পারেন তাহলো লোকাল স্পন্সর এর মাধ্যমে । এর মানে হলো আপনি যখন একজন ভালো মানের ইউটিউবার হয়ে যাবেন তখন আপনার কাছে অনেক কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে আসবেন তাদের পণ্য প্রমোট বা রিভিউ করার জন্য, এই ক্ষেত্রে আপনার যত বেশি সাবস্ক্রাইবার হবে আপনার ডিমান্ড তত বেশি হবে, তো সেই ক্ষেত্রেও আপনি তাদের কাছ থেকে একটা সম্মানি বা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

লোকাল স্পন্সর আরেক ভাবেও করা যায় তা হলো আপনার চ্যানেলের ভিডিও প্রচারের শুরুতে বা মাঝে আপনি বিজ্ঞাপন দাতাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন, আর এর থেকে আপনি একটা পরিমান অর্থ পাবেন। এভাবেই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউবে অন্যান্য আরো আয়ের উপায় আছে যেমনঃ

কোনো জনপ্রিয় বেশী ভিউ হওয়া চ্যানেলের মেম্বারশিপ নিতে পারেন। আরো আছে সুপার চ্যাট অপশন, আপনী চাইলে এটাও চয়েজ করতে পারবেন। এছাড়া ও আছে অন্যের পণ্য বিক্রি করে দেওয়া। এবং ইউটিউব প্রিমিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবেই আপনি ইউটিউব থেকে ভালো একটা আয়ের উৎস হিসাবে বেছে নিতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে আগে একটা চ্যানেল খুলতে হবে আর এ জন্য ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম টাও জানতে হবে। এবং আরো কিছু প্রক্রিয়া আছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে আপনাকে তবেই একটা সময় আপনি আয় করা শুরু করবেন। যেমন এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন হবে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট। আর তা হয়ে গেলেই উক্ত অ্যাকাউন্টের সাহায্যে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, আপনি চ্যানেল খুললেন, এবং লোকে সেই ভিডিও দেখলো তাতেই সেখান থেকে আপনার আয় হবে এমন টা নয়। আয় করতে হলে আপনাকে ইউটিউব পার্টনার হতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম-এ আপনার তৈরীকৃত চ্যানেলটিকে নথিভুক্ত করতে হবে। আর আপনার চ্যানেল-কে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে বা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার পরই ইউটিউব বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেবে সেই বিজ্ঞাপনে যখন কোন ভিউয়ার বা দর্শক ক্লিক করবে বা দেখবে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন।

জেনে রাখা রাখতে হবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর বিষয়ে 

আপনার চ্যানেলটিকে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন বা ইউটিউব পার্টনাশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্যও কিন্ত প্রাথমিক কিছু শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে । এরপর সেই শর্তগুলি পূরণ করা হলেই কেবলমাত্র আপনি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের কারী হিসাবে আবেদন করতে পারবেন।

ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের শর্তগুলি হল

১- আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে
২- ইউটিউব এর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার চ্যানেলটিতে  সর্বনিন্মে এক হাজার (১০০০ জন) সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
৩- এডসেন্স আবেদন করতে হলে পেছনের ১২ মাসে অর্থাৎ শেষের এক বছরে আপনার চ্যানেলের কম পক্ষে ৪,০০০ ঘণ্টা ভ্যালিড পাবলিক ভিউ বা ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে।
৪- গুগলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। মানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল্ অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট যুক্ত করন থাকতে হবে।
৫- আপনার কন্টেন্ট বা ভিডিও কপি রাইট মুক্ত বা ইউনিক হতে হবে, তারমানে অন্যের ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেল রাখা যাবে না, রাখলে যে কোন সময় আপনার চ্যানেল ব্যান হতে হয়ে যাবে, এই বিষয়ে ইউটিউব এর নিতিমালা ফলো করতে হবে।

এক্ষেত্রে একটি সহজ উপায় হলো আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং অপশন থেকে নোটিফিকেশন অন করে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই শর্তগুলি অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। শর্ত পুরন হলে ইউটিউব থেকে আপনাকে নোটিফাই করা হবে। ফিরতি নোটিফাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারবেন এই শর্তগুলি হয়েছে কি না।একবার পূরণ হয়ে গেলেই আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি পেয়ে যাবেন।

ইউটিউব আপনাকে কিভাবে টাকা দিবেঃ

ইউটিউবের কত ভিউতে হলে কত টাকা দেয় বা কিভাবে দেয়। তা নির্ভর করে আপনার প্রোগ্রাম তৈরীর কোয়ালিটির উপর। অর্থাৎ আপনার তৈরী করা ভিডিও প্রচারের জন্য ইউটিউব থেকে আপনি কত টাকা পাবেন তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে,। যেমন ভিডিওর মুল বিষয়, দর্শকের ধরন, দর্শকের ভৌগলিক অবস্থান, দর্শকদের বয়স, বিজ্ঞাপনের সময় কাল,ক্লিক থ্রু-এর সংখ্যা ইত্যাদি। এছাড়াও ইউটিউব (সিপিএম) cost per miles /Thousand. হার এবং (সিপিসি) বা cost per click.-এর ভিত্তিতে আপনাকে টাকা দিবে। আবার একজন ইউটিউবারের সিপিএম সিপিসি রেটও সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তন হয়।

সাধারণত যেই চ্যানেলগুলি প্রযুক্তি ভিত্তিক হয় তাদের (সিপিএম) রেট সব থেকে বেশি। বাংলাদেশ ট্রাফিক অর্থাৎ আপনার দর্শকরা যদি মূলত বাংলাদেশী হয়। সেক্ষেত্রে আপনার প্রযুক্তি ভিত্তিক চ্যানেলের জন্য সিপিএম ৫ ডলার অবধি হতে পারে। অন্যদিকে শিক্ষানবিশ ভিত্তিক চ্যানেলগুলির সিপিএম সাধারণত কমের দিকেই হয়ে থাকে। কারণ হিসাবে এদের ভিউয়ার দের বয়স মূলত ১৮ বছরের নীচে, এই বয়সী যারা দর্শক আছে তাদের প্রতি বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন দাতাদের আগ্রহ অনেক কম থাকে। শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাভিত্তিক ব্লগ জানাচ্ছে, তাদের সিপিএম (CPM) রেট ০.৫০ ডলার থেকে ২ ডলারে মধ্যে ওঠানামা করে। আর বিনোদন নির্ভর চ্যানেল গুলোর ক্ষেত্রে এর সংখ্যা ১ থেকে ৩ ডলারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

আরেকটি বিষয় হলো (সিপিসি)বা cost per click হলো দর্শক যদি নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের লিংক- এ ক্লিক করে তবে তার পরিবর্তে টাকা পাওয়া যায়। এটির মূল্য পুরোপুরি নির্ভর করে ঐ বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব প্রোফাইলের ওপর। মোট কথা, একবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা যদি ১০ লাখ অতিক্রম করে
তবেই আপনি মোটামুটি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা আয় করা শুরু করবেন।

ইউটিউবে অর্জিত অর্থ কিভাবে পাবেনঃ

ইউটিউব আপনাকে যেই টাকা দিবে তা গুগল্ অ্যাডসেন্স-একাউন্টের এর মাধ্যমে প্রদান করবে। প্রতি মাসের ১০ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে ইউটিউব আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা হবে। আপনার উক্ত অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলেই গুগল্ আপনার দেওয়া ঠিকানা বরাবর ডাকের মাধ্যমে আপনাকে একটি কোড পাঠাবে।

এরপর আপনাকে অ্যাকাউন্টে পাঠানো সেই কোডটি ভেরিফাই করাতে হবে। অতপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০০ ডলার জমা হলেই গুগল্ থেকে আপনার নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উপার্জিত টাকা প্রদান করবে। কাজেই একটি কথা পরিষ্কার যে ইউটিউব ব্যবসায় সাফল্যের মূলমন্ত্রই হলো দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি করতেই হবে । এমনকি ইউটিউব থেকে নিয়মিত ভাবে আয় শুরু করার জন্যও আপনার জন্য নিয়মিত ১০০০ জন দর্শক অবশ্যই প্রয়োজন হবে। এছাড়াও দর্শকদের ব্যক্তিগত প্রোফাইলের উপরও অনেকটা আয় নির্ভর করে । প্রাথমিক ভাবে এত কিছু না ভাবলে ও আপনি যখন একজন সফল ইউটিউবার হতে চাইবেন, তাহলে কয়েকটি জিনিস আপনার মাথায় রাখা জরুরী প্রয়োজন। তা হলোঃ

* সঠিক পরিকল্পনা * উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচন * নিজের আগ্রহ *নিজের পারদর্শিতা * মানসম্মত প্রোগ্রাম নির্মান * দর্শক চাহিদা বিবেচনা ইত্যাদি।

সেই সাথে আপনার ভিডিও নির্মানের উপর যেমন তা নির্ভর করবে, তেমনি নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের দর্শকের কাছে কোন ধরনের ভিডিও প্রদর্শন করবেন।

বর্তমানি ইউটিউবে সবচেয়ে বেশী যে ভিডিও গুলো প্রদর্শিত হয় হলোঃ প্রযুক্তি বিষয়ক*বিজ্ঞান বিষয়ক *বিনোদন * শিক্ষা * সংস্কৃতি *খেলাধুলা, *লাইফ হ্যাকস্ * নিজে করুন *পর্যটন * কৌতুক ইত্যাদি। এছাড়াও সমসাময়িক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা ও চমকপ্রদ বিভিন্ন বিষয়ের ইউটিউব চ্যানেল বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

আপনি নিজেই নিশ্চিত করুন যে আপনি কোন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরী করছেন। সেই বিষয়টির উপর আপনার যথেষ্ট জ্ঞান আছে কি না। ঠিক তাহলেই সেই বিষয় সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও তৈরী করে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন, যা আপনার নিজস্ব কিছু দর্শককে প্রতিনিয়ত আকৃষ্টতা করবে।

ধৈর্যের সাথে কাজ করা

ইউটিউব চ্যানেলের Youtube Channel অনলাইন এ ব্যবসায় আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে
মনে রাখবেন, একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রাথমিক ১,০০০ থেকে এমনকি ১০,০০০ হাজার দর্শক সাবস্ক্রাইবার সংখ্যায় পৌঁছাতে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন।

যে কোন ছোট খাটো ব্যবসার মতোই ইউটিউব ব্যবসায় ও প্রাথমিক দিন গুলো খুবই সাফল্যের হয় না। কোনো রকমে সমান তালে লাভ না করেই আপনাকে একের পর এক ভিডিও বানাতে হতে পারে। যদি আপনার কোনো ভিডিও হঠাৎই ভাইরাল না হয়। আপনাকে এটা ভেবে ভিডিও বানাতে হবে যে, যে কোনো একটি পেশাদার মানের ভিডিও যদি ভাইরাল হয়ে যায়, তাহলেই আপনি ব সফল।

বর্তমানে বিভিন্ন স্মার্টফোনেই অত্যন্ত ভাল মানের ক্যামেরা থাকে, সেই ক্যামেরা ব্যবহার করেও ভিডিও বানাতে পারেন। ভিডিও সম্পাদনা ও শব্দ বিন্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিন। অনেক সময়েই খুব ভাল মানের ভিডিও সুন্দর করে এডিটিং-এর কাজ না করার জন্য ভিডিওর মাণ নষ্ট হয়ে যায়। ভিডিও উপস্থাপনার ফরম্যাট সম্পর্কেও যত্নবান হতে হবে। যেমন অনেক সময়ে কথা বলার থেকে ক্যাপশনের ব্যবহার ভিডিওকে বেশি কার্যকরী করে তুলতে পারে।

youtube প্রতিষ্ঠার তারিখ ও জায়গা

youtube প্রতিষ্ঠার তারিখ ও জায়গা অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন তাই আজ এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো

২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী তিন বন্ধুর মিলে আমেরিকাতে এই ইউটিউব প্রতিষ্ঠিত করেন।

ইউটিউব তিন জন প্রতিষ্ঠিতাদের নাম
১। Jawed Karim ( জাওয়েদ করিম – বাংলাদেশি বংশদুত ) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
২। Chad Hurley ( চাঁদ হারলি ) ওয়েবমাষ্টার এন্ড বিজনেসম্যান
৩। STEVE CHEN ( স্টিভ চেন) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

পরিশেষেঃ

তথ্য মতে, ইউটিউবে, প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০ ঘন্টার বেশি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সারা বিশ্ব থেকে আপলোড হচ্ছে । সেই সাথে আবার ইন্টারনেট খরচ ক্রমাগত সুলভ হওয়ার ফলে দর্শক সংখ্যাও কিন্তু ক্রমে বাড়ছে। বর্তমান এই তীব্র বিশ্ব প্রতিযোগিতার বাজারে একটি ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে হতে হবে মেধাবী সৃজনশীল ও অসম্ভব পরিশ্রমী।

তবে ধৈর্য ধরে যদি একবার প্রতিষ্ঠিত ইউটিউবার হতে পারেন তাহলে, একটা ভাল অর্থ পারিশ্রমিক লাভ করা সম্ভব। তার জন্য কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আপনি চাইলে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম হিসাবে কিছু বাড়তি রোজগারের জন্যও ইউটিউবের এই মাধ্যমটিকে বেছে নিতে পারেন।

একেবারে নতুন কিছু তৈরি করতে না পারলেও, পুরনো বিষয় গুলোকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে ও দর্শকের নজর কাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর ইউটিউব ব্যবসায় আপনাকে সাফল্যে পেতে হলে, আপনার মূল লক্ষ্য হতে হবে মানসম্মত প্রোগ্রামের মাধ্যমে দর্শকের নজরে আসা।

তাহলে এতক্ষণ ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় , এবং কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায় ও অনেক খুঁটি নাটি বিষয় নিয়ে বলার চেষ্টা করলাম আশা করি আপনাদের কাজে দেবে আর আপনাদের ভালো লাগলেই আমাদের লিখা সার্থকতা পাবে, ধন্যবাদ সবাইকে ।

No Responses

  1. Anonymous August 12, 2021
  2. Anonymous August 13, 2021

Leave a Reply