ডিজিটাল মার্কেটিং কি? পরিপূর্ণ গাইড লাইন !

ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা ও তথ্য পেতে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আজকের পর্বে।

বেচা-বিক্রির জগতে একটা কথা বেশ প্রচলিত আছে, প্রচারেই প্রসার। ছোট-বড়, পৃথিবীর প্রায় সব কোম্পানিই এ তত্ত্বে বিশ্বাসী।

আপনি যদি একজন বিজনেস এন্থুজিয়াস্ট, বিজনেস স্টুডেন্ট কিংবা মার্কেটিং কিউরিয়াস কেউ হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে জানা-শোনা থাকাটা আপনাকে বেশ উপকৃত করবে।

আজকের এই ব্লগে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি, কত প্রকার, এনালগ মার্কেটিংয়ের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ফারাক কোথায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কদর কতটা তার ডিজিটাল মার্কেটিং a to z জানার চেষ্টা করবো।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? (What is Digital Marketing?)

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো পণ্য, সেবা, ব্র‍্যান্ড অথবা অন্য যেকোনো কিছু প্রচারের একটি পদ্ধতি যেখানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

আমরা গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ইমেইল সহ অন্যান্য যেসব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পণ্য, সেবা ও প্রতিষ্ঠানের যে বিজ্ঞাপন দেখি তার পেছনের কাজকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

এটি মূলত সনাতন বা অ্যানালগ মার্কেটিংয়ের একটি উন্নত পদ্ধতি। সনাতন মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অনেক সুবিধা রয়েছে। সুবিধাগুলো কি কি তা জানার আগে চলুন এদের মধ্যকার পার্থক্য কী তা জেনেই নিই।

অ্যানালগ মার্কেটিং VS ডিজিটাল মার্কেটিং

অ্যানালগ মার্কেটিং কি তা বুঝার জন্য কয়েকটি উদাহরণ দেখা যাক। প্রিন্টেড বিলবোর্ড, লিফলেট, রেডিও ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সবগুলোই অ্যানালগ বা সনাতন মার্কেটিং এর উদাহরণ।

এ থেকে কিছুটা হলেও অ্যানালগ মার্কেটিং সম্বন্ধে আঁচ পাওয়া যায়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, অ্যানালগ মার্কেটিং হলো পণ্য ও সেবা প্রচারের এমন একটা পদ্ধতি যেখানে ধারণা বা অনুমানের ভিত্তিতে প্রিন্ট মিডিয়া ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পৌছানোর চেষ্টা করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আমরা যেমন খুব স্পেসিফিক কাস্টমার বা অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারি, অ্যানালগ মার্কেটিংয়ে সেটা সম্ভব না।

Digital Marketing এর প্রচলন শুরুর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রচারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, রেডিও ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন, সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা, লিফলেট বিলি ও  মাইকিং করতো।

কিন্তু এখন তেমনটা খুব একটা দেখা যায় না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো অফিস থেকেই কাস্টমার বিহেভিয়ার, মার্কেট, কম্পেটিটর, ডিমান্ড ইত্যাদি রিসার্চ ও অ্যানালাইসিস করতে পারে।

আর পরবর্তীতে এগুলোর উপরে ভিত্তি করে ডেটা-ড্রিভেন সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে মার্কেটিং সবকিছুই করতে পারে।

তবে এখনও আমাদের আশেপাশে অ্যানালগ মার্কেটিংয়ের বহু দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায়। যেমন কিছু কিছু পণ্যের জন্য এখনও লিফলেট, মাইকিং, টিভিসি, বিলবোর্ড খেয়াল করা যায়।

এটিকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে সময়ের সাথে সাথে হয়তো অ্যানালগ মার্কেটিং হারিয়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন? – why digital marketing is important 

অ্যানালগ মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন অসুবিধা ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নানাবিধ সুবিধার কারণেই মূলত Digital Marketing এর এত বেশি কদর।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন তা বুঝতে হলে আমাদেরকে এর সুবিধাজনক দিকগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

Statistia এর মতে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে যা ৫.৩ বিলিয়নের বেশি। এত সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানোর একটাই উপায় আছে তা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।

এছাড়া আরও কি কি কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োজন নিচের অংশে আমরা তা সম্পর্কেই আলোচনা করবো।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা – benefit of digital marketing

আশা করবো যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন জেনে নিই এর সুবিধাগুলো কি কিঃ

  • ব্যয় কম: অ্যানালগ মার্কেটিংয়ের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যয় অনেক কম। এখানে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব, অ্যানালগ মার্কেটিংয়ে সেটা কখনোই সম্ভব হতো না।
  • সুনির্দিষ্ট অডিয়েন্স: আপনি কি বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সুনির্দিষ্ট শ্রেণির কাস্টমারের কাছে পৌছাতে পারবেন? হয়তো পারবেন না। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সেটা সম্ভব। ধরুন আপনার একটি টি-শার্ট ব্র‍্যান্ড আছে, যেটা ২০-২৫ বছর বয়সী ছেলেদের টিশার্ট তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়া অথবা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ব্যবহার করে খুব সহজেই ২০-২৫ বছর বয়সী ছেলে যারা টিশার্ট পছন্দ করে তাদের কাছে পৌছাতে পারবেন। এতে আপনি শুধু যে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে যেতে পারছেন তা নয়, অন্যান্য অডিয়েন্সের কাছে পৌছানোর ব্যয়টাও হচ্ছে না।
  • সুনির্দিষ্ট স্থান: আপনি চাইলে শুধু আপনার পণ্য বা সার্ভিস সেসব এলাকায় সরবরাহ করেন সেসব এলাকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। ধরুন, মতিঝিলে আপনার একটা কফিশপ আছে। এখন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা মতিঝিল সহ এর কয়েক কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে যারা আছে তারা। আপনি চাইলে শুধু এসব এলাকায় অবস্থিত মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
  • ইনসাইটস পর্যালোচনা: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর মাধ্যমে যেসব বিজ্ঞাপন ও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় সেগুলোর ইনসাইটস পাওয়া যায়। এখান থেকে আপনি জানতে পারেন কতগুলো পণ্য বিক্রি হলো, কী পরিমাণ অডিয়েন্সের কাছে পৌছেছেন এবং ক্যাম্পেইনটা আসলে কতটা সফল হয়েছে তার সকল কিছুই জানতে পারবেন।
  • তথ্য সংগ্রহ: কোনো একটা বিজ্ঞাপন পরিচালনার পরে সেটা থেকে যারা পণ্য ক্রয় করেছে এবং যারা আগ্রহী কিন্তু ক্রয় করেনি এই দুই পক্ষের তথ্য আপনি পেতে পারেন। যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল, ঠিকানা, আগ্রহের বিষয় ইত্যাদি। পরবর্তী সময়ে এগুলোকে ব্যবহার করে আরও সফলভাবে মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব।
  • ক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর মাধ্যমে ক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। তারা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে চাইলে তা জানাতে পারেন এবং সেই পণ্য বা সেবার মানোন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার ফিডব্যাকও পাওয়া যায়। এর ফলে আপনার ব্র‍্যান্ডের সাথে অডিয়েন্স সহজেই কানেক্টেড হতে পারে, যা একটা ব্র‍্যান্ডের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এটা কিন্তু অ্যানালগ মার্কেটিংয়ে সম্ভব নয়।

এসব সুবিধাদি ছাড়াও আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে চেষ্টা করেছি উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানাতে। বিস্তারিত জানতে পারবেন এ বিষয়ে যদি আরো পড়াশোনা করেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকারডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়? আসলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নির্দিষ্ট কোনো প্রকারভেদ নেই। সময়ের সাথে সাথে যত বেশি তথ্য প্রযুক্তির আবির্ভাব হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রও তত বড় হচ্ছে।

ব্লগের এই অংশে আমরা এর এমন ১০টি ধরন সম্পর্কে জানবো যেগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জানবো।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সেরা ১০টি ধরন – 10 Types of Digital Marketing

১. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) – search engine optimization

কিছু কৌশল ব্যবহার করে কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজকে গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টে প্রথম সাড়িতে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা সংক্ষেপে SEO বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যতগুলো হাতিয়ার আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল ও বেশি কার্যকরী এটি। তবে SEO বেশ কঠিন একটা কাজ।

আমরা কেনাকাটার ক্ষেত্রে এখন অনেকটাই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছি। কোনো কিছু কেনার পূর্বে সেটা সম্পর্কে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে রিভিউ ও তথ্য জেনে নিই। এরপরে সিদ্ধান্ত নিই কোন পণ্যটা আমার জন্য উপযুক্ত হবে।

মনে করুন, কেউ একজন তার প্রিয় মানুষকে একটা বিশেষ উপহার দেওয়ার জন্য গুগলে সার্চ করলো “best gift items for girl in bangladesh” সে যখন এটি লিখে গুগলে সার্চ করবে গুগল তাকে অনেকগুলো ব্লগ ও প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটের লিংক দেখাবে।

এক্ষেত্রে অনেক বেশি সম্ভাবনা আছে যে, সার্চ রেজাল্টে দেখতে পাওয়া কোনো একটা অনলাইন শপ থেকে সে গিফট আইটেম কিনবে। এখন আপনার যদি একটা গিফট আইটেমের অনলাইন শপ থাকে এবং ওই কিওয়ার্ডকে ঘিরে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেইজে আনতে পারেন তাহলে ওই ব্যক্তিটি আপনার থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারে।

আর যেহেতু আপনার মতো অনেকেই গুগলের প্রথম পেইজে তাদের শপের ওয়েবসাইটকে রাখতে চায় সেহেতু এটা আসলে বেশ প্রতিযোগীতাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। এখানেই প্রয়োজন হয় Search Engine Optimization বা SEO।

এসইও করে সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে ওয়েবসাইতে ট্রাফিক ও কাস্টমার আনার চেষ্টা করা হয়। এসইও আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা অন পেইজ এসইও এবং অপরটি অফ পেইজ এসইও। এসইও কি তা সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করা আছে। নিচের দেয়া লিংক থেকে সবগুল পোস্ট পড়ে নিতে পারেন।

২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) – search engine marketing

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং আর সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন প্রায় একই। তবে দুটোর একটু সামান্য পার্থক্য রয়েছে। SEO-তে শুধু অর্গানিক উপায়ে ট্রাফিক জেনারেট করা হয়, অর্থ খরচের প্রয়োজন পড়ে না।

কিন্তু SEM-তে অর্গানিক ও পেইড দুই উপায়েই ট্রাফিক জেনারেট করা হয়। আপনি যদি গুগলে কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করেন তাহলে খেয়াল করবেন সবার উপরে ও সার্চ রেজাল্টের মাঝে কিছু Ads থাকে। এগুলো মূলত পেইড বিজ্ঞাপন।

সার্চ ইঞ্জিনের বিজ্ঞাপন দিতেও অনেক কাঠ-খড়ি পোড়াতে হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ, মার্কেট ও কম্পেটিটর অ্যানালাইসিস ইত্যাদির কাজ করতে হয়। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের আওতায় ফ্রি ও পেইড উভয় অপ্টিমাইজেশনই থাকে।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – affiliate marketing

ছবি, অডিও, ভিডিও বা লেখার মাধ্যমে কোনো পণ্য প্রমোট করা, তা ক্রয় করতে অডিয়েন্সদের উৎসাহিত করা এবং পণ্যের বিক্রিত মূল্য থেকে কিছু পার্সেন্ট কমিশন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

মনে করুন, আপনি একটা নতুন মোবাইল কিনতে চান। আপনার বাজেট ৩০ হাজার টাকা। এখন আপনি যদি মোবাইল সম্পর্কে খুব বেশি না বুঝেন স্বাভাবিকভাবেই জানবেন না এই বাজেটে বাজারের সেরা ফোন কোনটি। স্বভাবতই গুগল অথবা ইউটিউবে সার্চ করে বিভিন্ন ফোনের রিভিউ দেখবেন।

এসব রিভিউ এর মাঝে খেয়াল করবেন সেসব ফোন কেনার জন্য বিভিন্ন ই-কমার্স ও অনলাইন শপের প্রোডাক্ট লিংক উল্লেখ থাকে। আপনি যদি সন্তুষ্ট ও অনুপ্রাণিত হয়ে সেই লিংকে ক্লিক করে ফোন কিনেন তাহলে যে অথর বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে পণ্য কিনলেন সে বিক্রয়মূল্যের উপরে একটা কমিশন পাবে।

এতে কন্টেন্ট ক্রিয়েট, ই-কমার্স ও আপনার তিন পক্ষেরই লাভ। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কমিশন থেকে আয় করছে আর বিক্রেতা বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করে আয় করছে। পাশাপাশি আপনিও ঘরে বসে পণ্য পেয়ে যাচ্ছেন।

Affiliate Marketing বিষয়টা আসলে এভাবেই কাজ করে। আর যে ব্যক্তি বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত থাকে তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বহুল প্রচলিত দুইটা মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ পোস্ট এবং ভিডিও কন্টেন্ট। আপনিও কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কলা কুশল শিখে নিজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে আয় করতে পারেন এর জন্য শুধু প্রয়োজন হবে ভালো ভাবে কাজটা শিখা আর একটা ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট কি বা কিভাবে তৈরী করবেন তা জানতে আমাদের নিচের দেয়া পোস্ট লিংক-এ গিয়ে দেখে নিতে পারেন, আশা করি অনেক কাজে দেবে।

৪. কন্টেন্ট মার্কেটিং – content marketing

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো হাতিয়ার রয়েছে তার মধ্যে বহুল ব্যবহৃত একটি হচ্ছে Content Marketing। অডিয়েন্সের জন্য উপকারী ও প্রতিষ্ঠান, পণ্য বা সেবার সাথে প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট প্রকাশ করে পণ্য সম্পর্কে সম্ভাব্য ক্রেতাদের জানানোর উপায়কে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে।

আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, বড় বড় ব্র্যান্ড তাদের ইকমার্স ও পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটা ব্লগ সাইট পরিচালনা করে। ব্লগ সাইটে তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বা পণ্যের সাথে মিল রয়েছে এমন টপিকে ব্লগ পাবলিশ করে।

কসমেটিকস ব্র্যান্ডগুলো মেয়েদের রূপচর্চার বিভিন্ন টিপস, নির্দেশনা ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে। এভাবে অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোও তাদের পণ্য বা সেবার সাথে প্রাশঙ্গিক টপিকে কন্টেন্ট পাবলিশ করে। এক্ষেত্রে ব্লগ, ভিডিও ও ছবি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অনেক ভালো দিক রয়েছে। যেমন এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ব্র্যান্ড পরিচিতি ও অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা যায়, উপকারী কন্টেন্ট প্রকাশের ফলে ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষ ইতিবাচক ধারনা পায় এবং বিশ্বাস রাখতে পারে। এছাড়া লিড জেনারেট করে পণ্য বিক্রি করা যায়।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) – social media marketing

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, টিকটকের মতো জনপ্রিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়াকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা সংক্ষেপে SMM বলে।

ফেসবুক ও ইউটিউবে আপনি খেয়াল করে থাকবেন যে, নিউজফিডে পোস্ট ও ভিডিওর মাঝে অসংখ্য Sponsored Posts বা Ads থাকে। এগুলো সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পৌছানোর জন্য কিছু টুল সম্পর্কে জানতে ও সেগুলোতে দক্ষ হতে হয়।

ফেসবুক বা ইউটিউবে শুধু বিজ্ঞাপন দিলেই তা থেকে ক্রেতা পাওয়া যাবে না। মার্কেট, অডিয়েন্স, কম্পেটিটর ইত্যাদি বিষয়ে রিসার্চ করে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে হবে। এটি কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও এখান থেকে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

এখনকার ছোট-বড় প্রায় সব কোম্পানিই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে। কারণ আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছি তারা সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করি এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৪.৮ বিলিয়নের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। যা একটা বিশাল সংখ্যা।

৬. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং – influencer marketing

ইদানীং এই ধরনের মার্কেটিং অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে নতুন কোনো পণ্য সম্পর্কে জানাতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সহায়তা নেওয়া হয়। অনেকেই এটাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের একটি অংশ মনে করেন।

যখন কোনো নতুন পণ্য যেমন মোবাইল, বাইক, ল্যাপটপ ইত্যাদি লঞ্চ করা হয় তখন এসবের ব্যবহারকারীরা যেসব ইনফ্লুয়েন্সারদের পছন্দ করে তাদের মাধ্যমে প্রোডাক্টের প্রমোশন করানো হয়।

যেমন স্বাভাবিকভাবে মোবাইল বা টেকস্যাভি হয় ১৮-৩০ বছর বয়সী মানুষেরা। এখন কোনো কোম্পানি যখন একটা নতুন মডেলের ফোন বাজারে আনে তখন কোম্পানি এই ফোনের প্রমোশনের জন্য এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সহায়তা নেয় যাদেরকে ১৮-৩০ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা পছন্দ করে।

৭. ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং – digital display marketing

বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমেজ, স্লাইড শো বা পপ-আপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়াকে ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং বলে। এগুলো বেশি দেখা যায় নিউজ ও ফোরাম সাইটে। ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এ থেকে।

এ ধরনের মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট বা নিউজ পোর্টালগুলোতে কতগুলো নির্দিষ্ট অ্যাড স্লটস থাকে। সেগুলো নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে একটা সময় পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়। অনেকটা রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে ভাড়ার মতো।

৮. মোবাইল মার্কেটিং – mobile marketing

প্রমোশনাল মেসেজের মাধ্যমে নতুন পণ্য, সেবা ও অফার সম্পর্কে জানানোকে মোবাইল মার্কেটিং বলে। টেলকো কোম্পানিগুলো এই ধরণের মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।

যদিও সম্প্রতি বিটিআরসি প্রমোশনাল মেসেজ পাঠানোর ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। গ্রাহক চাইলেই এসব প্রমোশনাল মেসেজ পাওয়া বন্ধ করতে পারে যাকে DND সার্ভিস বলে।

এছাড়াও অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের বিভিন্ন সময়ে SMS ও MMS পাঠিয়ে নতুন পণ্য, অফার ও নানান সুবিধাদি সম্পর্কে জানায়।

এখনকার জামানায় এই ধরনের মার্কেটিং খুব বেশি প্রচলিত নেই। তবে একদমই যে বিলীন হয়ে গেছে তেমনটাও না। যেহেতু এতে খরচ কম তাই অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও এটি চালু রেখেছে।

৯. ইমেইল মার্কেটিং – email marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দুনিয়ায় সবচেয়ে পুরনো একটা পদ্ধতি হলো ইমেইল মার্কেটিং। গ্রাহকের ইমেইল সংগ্রহ করে তাতে বিজ্ঞাপনমূলক ইমেইল পাঠানোকে Email Marketing বলে।

আপনি যখন কোনো ই-কমার্স সাইট বা যেকোনো প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করেন তখন তারা আপনার ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং প্রমোশনাল ইমেইল পাঠানোর অনুমতি চায়।

পরবর্তীতে যখন নতুন কোনো পণ্য বা সেবা আসে কিংবা কোনো বিশেষ ছাড়া দেওয়া হয় তখন তারা সেসব গ্রাহকদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানায়।

প্রথমে গ্রাহকদের ইমেইল অ্যাড্রেস কালেক্ট করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা হয়। এরপরে MailChimp, Active Campaign, Hubspot, Brevo ইত্যাদির মতো ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টার্গেটেড ইমেইলে অটোমেটেড ইমেইল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

যদিও এখনকার সোশ্যাল মিডিয়া বা কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের তুলনায় এই পদ্ধতি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য খুব একটা কার্যকর নয়।

১০. পিপিসি মার্কেটিং (PPC Marketing)

PPC এর পূর্ণরূপ হলো Pay Per-click। এটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন একটি পদ্ধতি যেখানে অর্থ খরচ করে সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ও অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে এসব বিজ্ঞাপনে কেউ ক্লিক করলে তবেই তার জন্য অর্থ খরচ হবে, অন্যথায় হবে না।

এই ব্লগ সহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখতে পান। এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখানোর জন্য বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান বা মার্কেটারের অর্থ ব্যয় হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ সেই অ্যাডে ক্লিক করবে না।

ব্র্যান্ডগুলোর কাছে এই ধরণের বিজ্ঞাপন বেশ পছন্দের। কারণে এখানে অল্প টাকা খরচ করে ভালো পরিমাণ সেলস জেনারেট করা যায় এবং অডিয়েন্স পাওয়া যায়। উপরে প্রদর্শিত যে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার জন্য আমরা কোনো অর্থ পায় না। কিন্তু আপনি বা অন্যকেউ যদি তাতে ক্লিক করে তবেই কেবল অর্থ পাবো।

এটা অনেকটা Search Engine Marketing এর মতো। তবে পার্থক্য হলো SEM-এ শুধু সার্চ ইঞ্জিনে অ্যাড দেখানো হয়। কিন্তু PPC-তে সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও অন্যান্য স্থানেও অ্যাড দেখানো হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি কি করা যাবে বা আয় কেমন হবে?

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রসমূহ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার ও মানুষের Purchasing Behaviour.

এই ধরুন AI প্রযুক্তির কথা। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ChatGPT এর ফলে সারা বিশ্বে কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কি পরিমাণ পরিবর্তন এসেছে। যদিও এআই প্রযুক্তি এখনও এটির প্রাইমারি স্টেজে আছে। অদূর ভবিষ্যতে এর বিশাল বিপ্লব হবে।

তেমনি মেটাভার্স কিংবা Web 3.O এর যুগে প্রায় সবকিছু ডিজিটাইজ হবে। এতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার কম-বেশি। এছাড়া সে ফ্রিল্যান্সিং ও নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আরও বেশি আয় করতে পারে। কেউ যদি এ পেশায় ভালো কিছু করতে পারে তাহলে প্রতি মাসে কমপক্ষে লাখ টাকা আয় করতে পারে।

ভবিষ্যতে Digital Marketing এর অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি এ বিষয়ে আগ্রহী হন এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে শুরু করার জন্য এখনই সবচেয়ে সেরা সময়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং, এজেন্সি, নামি-দামি কোম্পানিতে ফুল-টাইম জবও করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা নিয়ে আমাদের একটি পোস্ট আছে নিচের দেয়া লিংকে আপনারা দেখে নিতে পারেন আশা করি আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবো? – where to learn digital marketing

কেউ যদি কোনো কিছুতে আগ্রহী হয় তাহলে তার জন্য সেটা শেখা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনি যদি জানতে চান ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবো তাহলে আপনাকে একটা সংক্ষিপ্ত ধারণা দিই চলুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কিছু উপায় রয়েছে। যেমন অনলাইন কোর্স, অফলাইন কোর্স, ওয়েব কন্টেন্ট, ভিডিও টিউটোরিয়াল ইত্যাদি। এছাড়া এ বিষয়ে কিছু ভালো মানের বই পাওয়া যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কীভাবে করতে হয় সে সম্পর্কিত অনেক ইউটিউব ভিডিও রয়েছে। আপনি যদি একদমই নতুন হয়ে থাকেন তাহলে পরামর্শ দিবো প্রিমিয়াম কোনো কোর্সে ভর্তি না হয়ে প্রথমে ইউটিউবে কিছু ফ্রি কোর্স ও ভিডিও দেখুন।

এরপরে যদি আপনার মনে হয় আপনি এ বিষয়ে আপনি বেশ সিরিয়াস এবং এটি আপনি শিখতে পারবেন তাহলে ভালো কোনো কোর্সে এনরোল করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান হলো টেন মিনিট স্কুল, ইশিখন, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট, কোডার ট্রাস্ট বাংলাদেশ, ওস্তাদ।

আর যদি ইংরেজি ভাষা ভালো বুঝে থাকেন তাহলে কিছু ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের কোর্স করতে পারেন। যেমন Udemy ও Coursera তে ভালো মানের অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স রয়েছে।

এছাড়া ইন্টারনেটে অনেক ব্লগ পোস্ট, ফোরাম সাইট রয়েছে যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত আলাপ-আলোচনা করা হয়। সেগুলোর সাথেও যুক্ত থাকতে পারেন। এখানে আপনার শেখার ইচ্ছেশক্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ।

শেষাংশঃ Digital Marketing কি

আজকের ব্লগের শেষ অংশে চলে এসেছি। সম্পূর্ণ্টা যারা পড়েছেন তাদের যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আজকের লেখার মাধ্যমে Digital Marketing এর আদ্যোপান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

এখানকার কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হবে বা কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট জানাতে পারেন। আর পড়াশোনা, ব্যবসায়, প্রযুক্তি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়তে Consumer64 ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।

8 Comments

  1. Admin August 22, 2021
  2. হাবিজার রহমান September 30, 2022
    • Admin September 30, 2022
  3. Online Training June 11, 2023
    • Admin July 18, 2023
  4. Online Training June 11, 2023
    • Admin July 18, 2023
  5. Firoj ahmad July 13, 2023
    • Admin August 18, 2023

Leave a Reply