ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি

ব্লক এবং চেইন দুটো আলাদা আলাদা শব্দের কিন্তু অর্থ অন্যরকম, কিন্তু যখন দুটো শব্দ একত্রে জুড়ে দেওয়া হয়, তখন এটা হয়ে ওঠে খুবই এক্সাইটিং বিষয়। তথ্য সংরক্ষণ এবং স্থানান্তরের জন্য বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে নিরাপদ সিস্টেম হচ্ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি।

ব্লকচেইন কেন এতো নিরাপদ?

ব্লকচেইনের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে এর ডিস্ট্রিবিউটেড ওপেন লেজার। প্রত্যেকটা ট্রাঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে একেকটা ইউনিক হ্যাশকোড থাকে, যা হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি
ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি

একটু অদ্ভূত লাগছে শুনতে? একটু উদাহরন টেনে বোঝা যাক

মনে করুন আপনি আপনার বন্ধুকে কিছু টাকা পাঠাবেন। এক্ষেত্রে আপনার হয়ে কাজটি করে দিবে আপনার ব্যাংক। আপনার নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ব্যাংকে টাকা থাকবে এবং সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার বন্ধুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনি টাকা ট্রান্সফার করবেন, তাই তো ?

একটা বিষয় এখান একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করুন, আপনি যখন আপনার ব্যাংক অ্যাকউন্ট থেকে আপনার বন্ধুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন বা ট্রান্সফার করছেন, তখন কিন্তু সেই লেনদেনের হিসাব অর্থাৎ ট্র্যাঞ্জেকশন হিস্টোরি জমা থাকছে আপনাদের দুজনের ব্যবহৃত ব্যাংকের কাছে।

আপনি যদি A ব্যাংক থেকে B ব্যাংকের কাছে টাকা ট্র্যান্সফার করেন, তবে সেই ট্র্যাঞ্জেকশনের সমস্ত ডেটা থাকছে শুধু A আর B ব্যাংকের কাছেই। অর্থাৎ সেই লেনদেনের হিসাব শুধুমাত্র ঐ দুটো ব্যাংকের স্টাফ-রা ছাড়া আর কেউ দেখতে বা জানতে পারবে না।

কিন্তু ব্যাংক তো এখানে একটা মিডল-ম্যান (Middle Man) হিসাবে কাজ করলো আপনাদের দুজনের টাকা-পয়সা ট্র্যাঞ্জেকশনের জন্য। যদি এমন হতো, এই লেনদেনের হিসাব, এই ট্র্যাঞ্জেকশন হিস্টোরি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকতো? তাহলে তো আপনার আর আপনার বন্ধুর মাঝে লেনদেনের জন্য কোনো মিডিল-ম্যান প্রয়োজন হতো না!

লেনদেনে মিডল-ম্যান থাকলেই বা কি?

চলুন আরেকটা সহজ উদাহরন দেখে আসা যাক। আপনি যখন বিদেশে যান, তার আগে আপনি কি করেন, ব্যাংকে গিয়ে আপনি যে পরিমাণ টাকা নিয়ে যেতে চান বিদেশে সেটা ব্যাংক-কে বলেন যে সেই দেশের মুদ্রায় কনভার্ট করে দিতে।

এক্ষেত্রে এই কনভার্সেশনের জন্য ব্যাংক আপনার কাছ থেকে একটা ফি চার্জ করে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। এখন যদি এই মিডল-ম্যান না থাকতো? যদি কিনা এইভাবে চার্জ না কাটতো? তাহলে তো আরোও ভালো হতো। আর ঠিক এখানেই ব্লকচেইন প্রযুক্তির উদ্ভাবন!

ব্লকচেইনের সূচনা

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি এই নিয়ে কথা বলতে গেলেই চলে আসে ক্রিপ্টোকারেন্সির কথা। কারন এ দুটো একদম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৯১ সালের দিকে ক্রিপ্টোগ্রাফিক টেকনোলজিস ব্যবহার করে ব্লকচেইন নিয়ে কাজকর্ম শুরু হলেও তা কখনোও সেভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।

তবে ২০০৮ এর দিকে জাপানের সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের এক ব্যক্তির হাত ধরে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি প্রথমবার জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তিনি মূলত তার উদ্ভাবিত ক্রিপ্টোকারেন্সি, যার নাম বিটকয়েন,এটির লেনদেনের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেন।

তবে অদ্ভূত হলেও সত্য, এই ব্যক্তিকে না আজ অব্দি কেউ দেখেছে, না কেউ জানে আসলেই এই ব্যক্তি দুনিয়াতে বাস্তবে আছেন কিনা। কারণ শুধু নাম আর তার কাজ ব্যতীত কিছুই জানা যায়নি আজ অব্দি কখনও। তবে তার এই বিটকয়েন নামক ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার নতুনভাবে বিশ্বকে ভাবতে শেখায় যে লেনদেনের নতুন আরেকটি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে।

আর যেখানে ব্লকচেইনের সফল প্রয়োগ এবং ব্যবহার শুরু হয়েছে বিটকয়েন নিয়ে, সেখানে বিটকয়েনের লেনদেন বুঝতে পারলেই ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি তা সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যাবে।

ব্লকচেইন কাজ করে কিভাবে?

একটু আগেই বলেছিলাম, ব্লকচেইন হলো ডিস্ট্রিবিউটেড ওপেন লেজার। লেজার (Ledger) বলা হয় হিসাব রাখার খাতাকে। ব্যাংকে যেই খাতাপত্রে হিসাব রাখা হয় বা এখন আধুনিক সময়ে এক্সেল শিট বা আরোও নিজস্ব দারুণ সব সফ্টওয়্যকর ব্যবহার করে স্প্রেডশিটে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়, এই সংরক্ষিত তথ্য-ভান্ডারই লেজার।

এখন ওপেন এবং ডিস্ট্রিবিউটেড হওয়াতে এই হিসাবের খাতা সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ কে, কবে, কোথায়, কার কাছে, কতোটা লেনদেন করেছে, সেটার সম্পূর্ণ হিসাব একদম উন্মুক্ত থাকে সবার জন্য। যাতে করে আরোও স্বচ্ছতা পায় সব ধরনের ট্র্যাঞ্জেকশন।

আর বিটকয়েনে লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনার কোনো টাকা টু ডলার করতে কোনো ধরনের ফি বা চার্জেস কাটবে না কেউ। কারন আপনার কাছে থাকবে বিটকয়েন নামক কারেন্সি, এবং আপনি পাঠাবেনও বিটকয়েন কারেন্সি। হোক সেটা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে।

যেহেতু সারা বিশ্বের জন্যেই একটা ইউনিফাইড কারেন্সি সিস্টেম এই বিটকয়েন, তাই আপনার কোনো ধরনের কনভার্সনের তো দরকারই নেই আর!

এবার এই বিটকয়েন যখন আপনি কারোও সাথে লেনদেন করবেন, তখন প্রতিটা ট্র্যাঞ্জেকশনের তিনটি ভাগ থাকবে। তা হলো ডেটা, হ্যাশ আর পূর্ববর্তী হ্যাশ।

আরো পড়ুন: NFT কি এন এফ টি বা নন ফানজিবল টোকেন

ডেটা তো বুঝতেই পারছেন, বিটকয়েনের ভ্যালু নির্ধারনকারী ডেটা তো এতে সেইভড্ থাকবেই। এবার এই বিটকয়েনের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে সেখান থেকে একটা হ্যাশ-কোড জেনারেট হবে। এবার এই বিটকয়েন যতবারই লেনদেন হবে, ততবারই দুটো কোড নিয়ে বয়ে বেড়াবে এটি।

একটা হচ্ছে বর্তমান হ্যাশ-কোড এবং আরেকটা হচ্ছে পূর্ববর্তী হ্যাশ-কোড। এই হ্যাশ-কোডই সব নিরাপত্তার মূলে রয়েছে। কারন আপনি চাইলেই এই হ্যাশ-কোড বদলাতে পারবেন না।

ব্লকচেইন
ব্লকচেইন

ব্লকচেইনে হ্যাশকোড বদলানো প্রায় অসম্ভব কেন?

একেকটা হ্যাশ-কোড জেনারেট হয়ে থাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে। আর এভাবে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার তড়িৎ গতিতে সবসময় তৎপর রয়েছে এবং সবসময় আপডেট করে চলেছে এই চেইনে কোথায় কি হচ্ছে। এখন মনে করুন আপনি একটা হ্যাশ-কোড চেঞ্জ করে যদি বিটকয়েনের ট্র্যাঞ্জেকশনে কোনো ট্যাম্পার করতে চান, সাথে সাথে আর বাকি কম্পিউটার সিস্টেমগুলো এই বহিরাগত চেঞ্জকে রিজেক্ট করে দিবে।

একটা ছোট্ট উদাহরন দেওয়া যাক। আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে একটা বিটকয়েনের হ্যাশ-কোড বদলে ফেললেন কোনোভাবে। এবার আপনার এই চেঞ্জটা অ্যাক্সেপ্টেড হওয়ার জন্য বাকি যত কম্পিউটারে ঐ লেজার আপডেট চলছে, তার মধ্য থেকে অন্তত ৫০% কম্পিউটারের লেজার নিজে ম্যানুয়ালি আপডেট করতে হবে। কিন্তু একেকটা হ্যাশ-কোড চেঞ্জ করতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লেগে যায়।

আর এভাবে যদি আপনি দুনিয়ার সব ব্লকচেইনে ব্যবহৃত কম্পিউটারের লেজার আপডেট করতে চান তো ২০০ বছরেও শেষ করতে পারবেন না। আর সেই সাথে, কোনো হ্যাশ-কোড চেঞ্জ করার পর তা রিজেক্ট করতে লেজার বড়জোড় ১০-১২ মিনিট সময় নিবে। যেখানে আপনার জীবনেই হয়তো গড়ে আপনি বাঁচবেন ৭০ বছর, আর আপনার চেঞ্জ করতে লাগবে ২০০ বছর, আর লেজার আপনার চেঞ্জ রিজেক্ট করে দিবে ১২ মিনিটেই, সেখানে কিভাবে আপনি একটা ফলস্ ট্র্যাঞ্জেকশন করবেন বিটকয়েনে? সম্ভবই না বাস্তবিকভাবে। এজন্য ব্লকচেইন এতো বেশি সিকিউর মানা হয় আজকের দুনিয়াতে।

ব্লকচেইনের সুবিধা অসুবিধা

ব্লকচেইনের এতো জনপ্রিয়তার মূল কারন এর শক্তিশালী সিকিউরিটি সিস্টেম ও মেকানিজম। আর ব্লকচেইনের উপর বেইজ করে তৈরীকৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন, যার জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে, এই বিটকয়েনের জন্যও বলা যায় ব্লকচেইন এতো বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।

ব্লকচেইন খুবই নিরাপদ এবং খুবই ফাস্ট। নিরাপদ কারণ আপনি ব্লকচেইন ব্যবহার করে যেই ট্র্যাঞ্জেকশন করবেন, তা হ্যাক করে ট্যাম্পার বা গড়মিল করা প্র্যাক্টিক্যালি অসম্ভব। আপনি ব্লকচেইন ব্যবহার করে কোনো লেনদেন করার সাথে সাথেই দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার সিস্টেমে এই যে বিরাট উন্মুক্ত হিসাব, অর্থাৎ লেজার, এই লেজারে আপডেট হয়ে যাবে।

আর এই ট্র্যাঞ্জেকশনটিকে ভ্যালিডেট করার জন্য হ্যাশ-কোড চেক করে করে এই সমস্ত কম্পিউটার সিস্টেম ভোট প্রদান করবে। ভোটে যখন ৫০% পজিটিভ রেজাল্ট চলে আসে, তখনই আপনার ট্র্যাঞ্জেকশনটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। শুনতে সময়সাপেক্ষ মনে হলেও, বাস্তবে এইসব শক্তিশালী কম্পিউটারগুলো আসলেই এতো বেশি শক্তিশালী যে কিনা চোখের পলকেই এসব চেকিং আর আপডেটিং এর কাজকর্ম করতে সক্ষম।

হ্যাকার যদি চায়ও কোনো ধরনের ফলস্ ট্র্যাঞ্জেকশনকে ভ্যালিডেট করতে, তাহলেও তার হাতে মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময় থাকবে, আর এতো অল্প সময়ে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করা কল্পনাকেও হার মানাবে।

আর ব্লকচেইনের এই নিরাপদ আর দ্রুততার সাথে লেনদেন এখন অনেক ক্ষেত্রে ইলিগ্যাল, ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ্ এবং ডার্ক-ওয়েবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেটা অবশ্যই ব্লকচেইন নামক এই অসাধারন প্রযুক্তিতে কিছুটা হলেও ডিফেইম করছে। এটাই অসুবিধা।

ব্লকচেইনের ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা

ব্লকচেইন তো হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব তা তো এতক্ষণে বুঝতেই পেরেছেন। আর এই নিরাপত্তা আর ফাস্ট ট্রাঞ্জেকশন স্পিডের দিকে লক্ষ্য রেখেই মানুষ খুব বেশি পরিমাণ ঝুঁকছে এর দিকে। আর বিটকয়েনের ভ্যালুয়েশনও দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবাই ইনভেস্ট করছেন। আর সেই সাথে বিটকয়েনের মার্কেট ক্যাপিটালও রাইজ হচ্ছে দিন দিন।

এছাড়া এই ফাস্ট ট্রাঞ্জেকশন স্পিডের জন্য বিশ্বের অনেক ব্যাংকও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে, এবং পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারও শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আর কি কি নতুন সম্ভবনার দুয়ার উন্মোচন করা সম্ভব এ নিয়ে এখন দিন রাত গবেষণা চলছে উন্নত বিশ্বে।

এছাড়া রিয়েল-এস্টেট বিজনেসেও ব্লকচেইনের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। রিয়েল-এস্টেট এমন এক সেক্টর যেখানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং হিসাবনিকাশে স্বচ্ছতা থাকা খুবই জরুরী। যার কারনে এখন ধীরে ধীরে অনেক সম্পত্তির তথ্য ব্লকচেইন ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে যাতে করে কেনাবেচার আর লেনদেনের এই ট্যাঞ্জেকশন হিস্টোরি সব সুরক্ষিত থাকে এবং ফ্রড কমে আসে।

কে, কোথায়, কার কাছ থেকে, কত মূল্যে রিয়েল-এস্টেট সেক্টরে কেনাবেচা করেছে, এটা কাগজপত্রে অনেক সময় কিছুটা হলেও গড়মিল করা যায়। কিন্তু এখানেও যদি ব্লকচেইন প্রযুক্তি চলে আসে, তবে অবশ্যই আরোও বেশি স্বচ্ছতা চলে আসবে। এজন্য রিয়েল-এস্টেট সেক্টরে ব্লকচেইনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

আবার হসপিটাল সেক্টরেও এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহকর হওয়া শুরু হয়েছে এখন। কোনোও রোগী কোথায়, কখন, কাকে, কোন সমস্যায় ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়েছেন, কি ওষুধ খেয়েছেন, যাবতীয় রোগী এবং হাসপাতালের তথ্যাদি ধীরে ধীরে উন্নত বিশ্বে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যার ফলে অনেক সময় ঐযে রোগীরা কিছু তথ্য বা বয়স লুকান বা বলতে চান না, বা ডাক্তার এবং রোগীর মাঝে সঠিক এবং সম্পূর্ষ স্বচ্ছতা থাকে না, এই বিষয়গুলো যথাসম্ভব কমে আসবে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের আরোও নতুন দুয়ার সামনে উন্মোচন হবে। সাথে সাথে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই নতুন প্রযুক্তি একদিন আমাদের দেশেও চলে আসবে। এখনোও পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো প্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেনের স্বীকৃতি বা অনুমতি দেয়নি। যার কারনে বাংলাদেশে বসে এখনোও ব্লকচেইনে নিরাপদে এবং দ্রুত গতিতে ট্র্যাঞ্জেকশনের চিন্তাভাবনা স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে।

তবে অদূর ভবিষ্যতে আশা করা যায় একদিন বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি স্বীকৃত হবে, হয়তো শীঘ্রই আমরা বাংলাদেশীরাও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করার সুযোগ পাবো। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি, সহজে বললে বিটকয়েনে লেনদেন এবং ইনভেস্টমেন্ট হোক অবশ্যই মার্কেট রিস্ক মাথায় রেখে তারপর করা উচিৎ। সঠিকভাবে পরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে এই মার্কেট সম্বন্ধে জেনে শুনে বুঝে তারপর ট্র্যাঞ্জেকশন এবং ইনভেস্টমেন্ট করা উচিৎ।

আর যেকোনো ধরনের বিটকয়েন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বা ব্লকচেইন নিয়ে প্রতারণা বা স্ক্যাম থেকে সবসময় শতক্রোশ দূর থাকবার চেষ্ট করতে হবে যাতে কেউ এই নিরাপদ প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করতে না পারে।

বিটকয়েন হোক বা বাস্তবের টাকাপয়সা, লোভে পড়ে কোনো কিছুতে ইনভেস্ট করা, বা কারোও প্ররোচনায় পড়ে এই হাইপের সময় টাকা ঢেলে দিয়ে তারপর শেষে নিঃস্ব হওয়ার আগে একবার হলেও ভেবে নিতে হবে যে আদৌ আপনার বা আমার সঠিক এবং পরিপূ্র্ণ জ্ঞান রয়েছে কিনা এই ব্লকচেইন আর ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়াতে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি তা আশা করি একটা ধারণা পেয়েছেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে

Leave a Reply