অফ পেজ এসইও কি Off Page SEO বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব-৩

অফ পেজ এসইও কি Off Page SEO বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব-৩

সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি এসইও টিউটোরিয়ালের তৃতীয় পর্বে। এই পর্বে আমরা কথা বলবো, অফ পেজ এসইও (off page SEO) কি এবং কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে। এছাড়াও  এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করবো।

গত পর্বে জানার চেষ্টা করেছি, অন পেইজ SEO সম্পর্কে এবং প্রথম পর্বে SEO এর সামগ্রিক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। যদি আগের পর্ব দু’টো না পড়ে থাকেন তাহলে অনুরোধ করবো সেগুলো পড়ে নেওয়ার জন্য। চলুন তাহলে আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

অফ পেজ এসইও

অফ পেজ এসইও

অফ পেজ এসইও কি? (What is off-Page SEO?)

ওয়েবসাইটের ভেতরে বিভিন্ন কৌশলগত কার্যক্রম করাকে অন পেজ SEO বলে। আর ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে, মানে সাইটের অ্যাক্সেস ছাড়াই ওয়েবসাইটকে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য যেসব কৌশল অনুসরণ করা হয় তাকে অফ পেজ এসইও বলে।

অর্থাৎ কোনো একটা ওয়েবসাইটের অফ পেজ এসইও করার জন্য সেই ওয়েবসাইটের অ্যাডমিন প্যানেলের অ্যাক্সেস নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে যেকারো ওয়েবসাইটেরই কাজ করে দিতে পারবেন, সেটা হোক নিজের বা অন্য কারোর। অফ পেজ এসইও করতে কতগুলো কৌশল অবলম্বন করতে হয়। নিচের অংশে আমরা বিস্তারিত শিখবো।

কিভাবে অফ পেজ এসইও করতে হয়? (How to do off page SEO)

অফ পেজ এসইও করার কয়েকটি উপায় আছে। সেগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী উপায়গুলো ব্যাকলিংক তৈরি করা।

১. ব্যাকলিংক তৈরি (create backlinks)

ব্যাকলিংক হলো একটা ওয়েবসাইট থেকে অন্য একটি ওয়েবসাইটে রেফার করা, অর্থাৎ দুইটা ওয়েবসাইটের মধ্যে লিংকিং বা সংযোগ তৈরি করা। ব্যাকলিংক অফ পেজ এসইও এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাকলিংক প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক (Inbound Backlink) এবং অন্যটি হলো আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক (Outbound Backlink)।

ইনবাউন্ড লিংক কি? (inbound link)

যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে তখন সেটাকে ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক বা আন্তঃমুখী ব্যাকলিংক বলে। যেকোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক। এতে প্রথমত অধিক ভিজিটর পাওয়া যায় অন্য ওয়েবসাইট থেকে আর দ্বিতীয়ত সার্চ ইঞ্জিনে খুব সহজেই ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করে।

আউটবাউন্ড লিংক কি? (outbound link)

আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক হলো ইনবাউন্ড ব্যাকলিংকের ঠিক বিপরীত। অর্থাৎ যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য কারো ওয়েবসাইটে ট্রাফিক যাবে সেটা হলো আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক বা বহির্মুখী ব্যাকলিংক।

সাধারনত কোনো বিষয়ে রেফারেন্স ব্যবহার করতে আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক তৈরি করা হয়। আর যে ওয়েবসাইটের লিংককে আউটবাউন্ড করবেন সেই ওয়েবসাইটের জন্য এটা ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক হবে।

ধরুন, আপনি কোনো একটা টপিকে আর্টিকেল লিখলেন এবং আপনার পাশাপাশি আরেকজনও একই বিষয়ে একই ধরনের আর্টিকেল লিখলো। দুইজনেই একই সময়ে ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করলেন।

তাহলে বলুন তো, কার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটা গুগলে র‍্যাঙ্ক করবে? মাথার মধ্যে গুলাচ্ছে তাই তো? উত্তরটা বরং আমি দেই। দু’জনের মধ্যে যার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি (DA- Domain Authority), পেজ অথোরিটি (PA- Page Authority) ও ব্যাকলিংক বেশি তার ওয়েবসাইটের লেখাটা আগে র‍্যাঙ্ক করবে। হ্যাঁ, আপনি যেটা পড়লেন সেটাই সঠিক।

শুধু অন পেজ SEO করে কোনো সাইটকে র‍্যাঙ্ক করা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। এজন্য অন পেজ এসইও এর পাশাপাশি অফ পেজ এস ই ও তেও জোর দিতে হয়। আর আগেই বলেছি, অফ পেজ এসইও করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাকলিংক তৈরি।

  • যারা এখনো SEO সিরিজের  প্রথম পর্ব পড়েননি তারা দেখে নিতে পারেন (এসইও কি SEO এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব-১ )

তবে শুধু ব্যাকলিংক তৈরি করলেই হবে না, সেগুলো ভালো অথোরিটি ওয়েবসাইট থেকে তৈরি করতে হবে। যে সাইটের ডিএ, পিএ বেশি এবং স্প্যাম স্কোর কম সেই সকল সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে পারলে সেটা হবে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক।

অফ পেজ এসইও করার উপায়

১.১ ফোরাম পোস্টিং (forum posting)

ফোরাম ওয়েবসাইট হলো এমন একটা কমিউনিটি সাইট যেখানে ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করতে, সমস্যার সমাধান চাইতে পারে। আর সেখানে যারা এই বিষয়ে এক্সপার্ট তারা উত্তর দিয়ে থাকে সেগুলোর।

আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট এবং আপনার ওয়েবসাইটের টপিকের সাথে মিল রেখে কিছু জনপ্রিয় ফোরাম সাইটের যুক্ত হতে পারেন। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করে থাকে। আবার অনেক সময়ে ব্লগ লেখার সুযোগ থাকে।

এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কিংবা ফোরামে ব্লগ লেখার সময় নিজের সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ থাকে।

হাই প্রোফাইল ও কোয়ালিটি ফোরাম সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে পারলে সেটা আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। বেশি ডিএ, পিএ ও ব্যাকলিংক রয়েছে এরকম ফোরামগুলো থেকে ব্যাকলিংক সংগ্রহ করার চেষ্টা করা উচিৎ। কিছু জনপ্রিয় ফোরাম পোস্টিং সাইট হলো-

  • Warrior Forum
  • HTML Forum
  • Webmaster Forum
  • SEO Chat Forum
  • CNET Forum
  • Digital Point Forum

১.২ প্রশ্ন-উত্তর সাইট (question and answer site)

অনলাইনে বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের নানা সমস্যার সমাধান ও অজানা বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করে থাকে। এবং সেখানে যেকোনো ব্যবহারকারী চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

আবার কেউ চাইলে আর্টিকেল লিখতেও পারে। এসব ওয়েবসাইট থেকে প্রতিদিন অনেক বেশি পরিমাণ ভিজিটর পাওয়া যায়। এরকম সাইটে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নিজের ওয়েবসাইটের কোনো পোস্টের লিংক জুড়ে দেওয়া যায় আবার প্রশ্নের উত্তরের শেষে বিস্তারিত জানানোর জন্য রিলেটেড কোনো আর্টিকেলের লিংক দেওয়া যায়। কিন্তু সরাসরি লিংক জুড়ে দিলে তা স্প্যামিং হিসেবে ধরতে পারে। তাই অ্যাঙ্কর ট্যাগ দিয়ে ব্যাকলিংক বানিয়ে নিতে হবে।

ফোরাম ওয়েবসাইট আর প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট কিছুটা একই ধরনের। কিছু জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট হলো-

  • Quora
  • Yahoo Answer
  • Math Overflow
  • Health Tap
  • Linked Answer
  • QNA Rediff
  • Amazon AskVille
  • Answer Bag
  • Bissoy Answer

১.৩ গেস্ট পোস্টিং (guest posting)

গেস্ট পোস্টিং বলতে বুঝায় অতিথি লেখক হিসেবে অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পোস্ট করা। এটা করাই হয় মূলত নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক নেওয়ার জন্য। যেসব ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্টের ব্যবস্থা থাকে তাদের এজন্য একটা নির্দিষ্ট নীতিমাল থাকে।

সেই নিতিমালা মেনে ব্যাকলিংকিং করলে তারা এতে বাধা দেয় না। তবে কোনোভাবেই অন্যের ওয়েবসাইটের নীতি লঙ্ঘন করা যাবে না কোনো অবস্থাতেই।

গেস্ট পোস্ট করার জন্য একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হতে হবে বা একজন ভালো রাইটারকে দিয়ে তা লিখিয়ে নিতে হবে। তা না হলে অনেক সময় গেস্ট পোস্ট অ্যাপ্রুভ করে না অ্যাডমিন পক্ষ থেকে।

  • যারা SEO সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব এখনো পড়েননি দেখে নিতে পারেন (অন পেজ এসইও কি On Page SEO বাংলা টিউটোরিয়াল পর্ব-২)

আর এমন টপিকে গেস্ট পোস্ট লিখতে হবে যেটা আপনার ওয়েবসাইটের নিশের সাথে সম্পর্কিত। তা না হলে গেস্ট পোস্ট করে কোনো লাভ হবে না, কোয়ালিটি ব্যাকলিংক ও ট্রাফিক কোনোটাই পাবেন না।

ভালো গেস্ট পোস্ট করলে সেটা মানুষের কাছে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিবে। এতে আপনার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং নিজের সাইটে নিয়মিত সেই সকল মানুষদেরকে ভিজিটর হিসেবে পাবেন। এছাড়াও গেস্ট পোস্টিং এর আরো অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তবে গেস্ট পোস্ট লিখতে গেলে কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। যেমন অপ্রাসঙ্গিক কোনো লিংকিং করা যাবে না, উপকারী নয় বা কাজে আসবে না এরকম আর্টিকেল লেখা যাবে না কারণ মানুষ এগুলো পড়ে না।

এতে শুধু আপনার সময়টাই নষ্ট হবে। ব্যাকিলিংক তৈরি ক্ষেত্রে রিলেটেড পোস্ট হিসেবে লিংক করা যায়, তা না হলে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বাক্যে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। কিছু জনপ্রিয় গেস্ট পোস্টিং ওয়েবসাইট হলো-

  • HubSpot
  • Mashable
  • Get Response
  • Feter Freaks

১.৪ প্রোফাইল ব্যাকলিংক (profile backlink)

প্রোফাইল ব্যাকলিংক হলো নিজের প্রোফাইলে ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা। আমাদের প্রয়োজনের খাতিরে এমন অনেক ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলি যেখানে নিজের একটা পাবলিক প্রোফাইল তৈরি করার সুযোগ থাকে।

এবং সেটা অন্যান্য ইউজাররা দেখতে পায়। এরকম প্ল্যাটফর্মগুলোতে যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেখানে ব্যাকলিংক করতে পারেন।

সেই সাইটে আপনার কার্যক্রম ভালো হলে, মানুষ আপনার প্রতি আগ্রহী হলে এবং জনপ্রিয়তা পেলে সেই ব্যাকলিংক থেকেও ভিজিটর আনা যায়। আর এটা আপনার সাইট বা ব্লগের জন্য ডু-ফলো ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করবে। তাই এটা র‍্যাঙ্কিংয়ে বেশ ভালো সহায়তা করবে।

২. সোশ্যাল মিডিয়া এংগেজমেন্ট (social media engagement)

সোশ্যাল মিডিয়া এংগেজমেন্ট মানে হলো বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনা। এটি বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। সোশ্যাল মিডিয়া এঙ্গেজমেন্ট ভালো হলে সেই ওয়েবসাইট দ্রুত র‍্যাঙ্ক করানো সম্ভব হয়।

এজন্য আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত শেয়ার করতে হবে, কিন্তু মনে রাখতে হবে যে কোনো অবস্থাতেই স্প্যামিং করা যাবে না।

স্প্যামিং করলে অনেক সাইট ডোমেইন ব্লক করে দেয়, যা আপনার সাইটের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইটের নামে অ্যাকাউন্ট বা বিজনেস পেজ খুলুন। প্রোফাইলটা সম্পূর্ণভাবে সেটাপ করে সেখানে নিয়িমিত ওয়েবসাইটের পোস্ট শেয়ার করতে থাকুন।

অনেক জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপেও ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা যায় তাদের গাইডলাইন মেনে। এতে করে বেশ ভালো পরিমাণ ভিজিটর পাওয়া যায় এবং মানুষের কাছে সাইটের জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি বাড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর পাওয়ার জন্য পেইড ক্যাম্পেইন করতে পারেন। তবে তা ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে না। অনেক গ্রুপে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করার অনুমোদন আছে তবে তার জন্য একটা ফি দিতে হয়। এরকম গ্রুপ খুঁজে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করে সাইটের লিংক পোস্ট করে সেখান থেকে ভিজিটর নিতে পারেন।

৩. ভিডিও মাধ্যম ব্যবহার (Using Video in Social Media)

এখনকার সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট হলো ভিডিও। প্রতিদিন লাখো লাখো ভিডিও আপলোড হচ্ছে ইন্টারনেটে। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট হলো ইউটিউব।

যেকোন কোম্পানিকে ভালোভাবে ও সহজে ব্র্যান্ডিং করার জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব। আর ভিডিও কন্টেন্ট প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়। তাই আর দেরি না করে নিজের ওয়েবসাইটের নামে ইউটিউব ও ফেসবুকে একটা করে চ্যানেল ও পেজ খুলে ফেলুন।

এরপর ওয়েবসাইটের টেক্সট কন্টেন্টগুলোকে ভিডিও আকারে প্রকাশ করুন। ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনে বা ক্যাপশনে সেই ভিডিও সম্পর্কিত একটা আর্টিকেলের লিংক জুড়ে দিন। এতে করে প্রতিনিয়ত ভালো পরিমাণ ভিজিটর পাওয়া যায় ওয়েবসাইটে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া বুকমার্কিং (social media bookmarking)

বর্তমান সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডিং কৌশল হলো সোশ্যাল মিডিয়া বুকমার্কিং করা। সোশ্যাল মিডিয়া বুকমার্কিং হলো এমন ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কোনো পেজ বুকমার্ক করে রাখতে পারে।

এসকল সাইট থেকে অনেক বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং কোয়ালিটি ডু-ফলো ব্যাকলিংক তৈরি হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া বুকমার্কিং সাইট হলো-

  • Reddit
  • Pinterest
  • Tumblr
  • Delicious
  • Storify
  • Digg
  • MySpace

শেষ বার্তা

এতক্ষণে আমরা অফ পেজ এসইও সম্পর্কে বেশ আলোচনা করলাম। এটি মূলত ব্যাকলিংক তৈরি করাকেই বুঝাই। এছাড়াও কিছু অন্যান্য বিষয় আছে যেগুলো কোনো না কোনো ভাবে ব্যাকলিংক বা ট্রাফিক জেনারেটের মধ্যেই পরে।

তাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালোভাবে অফ পেজ অপ্টিমাইজেশন করতে হলে হাই প্রোফাইল সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট থেকে কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ব্যাকলিংক নেয়ার চেষ্টা করুন।

এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সেটা হতে পারে উপরে উল্লেখিত কৌশলগুলো ফলো করে Backlink বানানো অথবা পেইড সার্ভিস নিয়ে Backlink বানানো। তো এই ছিলো অফ পেজ এসইও বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

আশা করি এটি আপনাদের উপকারে আসবে। এরপরে কোন বিষয়ে আর্টিকেল পড়তে চান সেটা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার আগ্রহ অনুযায়ী কন্টেন্ট দিতে চেষ্টা করি।

এর পরের পর্বে (হোয়াইট হ্যাট এসইও ও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কি? পর্ব-৪ ) নিয়ে আলোচনা করবো, সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

One Response

  1. Online Training June 12, 2023

Leave a Reply