সর্বজনীন পেনশন কি? ও সর্বজনীন পেনশন সুবিধা 2023

দেশে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকে।

কিন্তু যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়, কৃষিকাজের মতো নিজ স্বকর্মে নিয়োজিত তারা পেনশন পায় না। ফলে দেশের একটা বিরাট অংশ বৃদ্ধকালে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে।

দেশের সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধা দিতে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করতে সরকার সর্বজনীন পেনশন নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে।

সম্প্রতি ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আজকের ব্লগে আমরা এই Universal Pension Scheme সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো।

সর্বজনীন পেনশন কি
সর্বজনীন পেনশন কি

সর্বজনীন পেনশন কি? What universal pension scheme in Bangladesh?

সর্বজনীন পেনশন হলো সরকার কর্তৃক গৃহীত এমন একটি আর্থিক নিরাপত্তা প্রকল্প যার আওতায় ষাটোর্ধ্ব বাংলাদেশি নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে।

সরকারি, আধা-সরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট হারে পেনশন পেয়ে থাকে। কিন্তু এই শ্রেণির বাইরে যেসব নাগরিক আছেন তারা পেনশন পায় না। যদিও বর্তমানে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কর্মীদের জন্য পেনশন সুবিধা চালু করা হয়েছে।

উক্ত শ্রেণির বাইরে যারা রয়েছে তারাই কেবল এই সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবে। হতে পারে তারা বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, কৃষক, চালক কিংবা বেকার।

নিচের এই পেনশনের সুবিধা, অসুবিধা সম্পর্কে জানবো।

সর্বজনীন পেনশন সুবিধা

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হলে এই পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে বিশেষ শর্তসাপেক্ষে কেউ ৫০ বছর বয়সের পরেও পেনশনের আওতায় আসতে পারবে। এ বিষয়ে নিচের ৫ নম্বর সুবিধায় বিস্তারিত জানবো।

আমাদের অনেকেই সর্বজনীন পেনশনের সুবিধা সম্পর্কে জানতে চান। কেন ডিপিএস বা ব্যাংক হিসাবে টাকা না রেখে পেনশন স্কিমে টাকা রাখা উত্তম হবে তার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

১. পেনশনধারী ব্যক্তি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নির্দিষ্ট হারে মাসিক পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকবেন। তবে কেউ যদি ৭৫ বছর বয়সের আগেই মারা যায় তাহলে ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার বাকি সময়ে পেনশনধারী ব্যক্তির নমিনি এই আর্থিক সুবিধা পাবেন।

২. আবার কেউ যদি ৮০ কিংবা ৮৫ বছর বয়সে মারা যায় তাহলে সে ৮০ কিংবা ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত সমান হারে পেনশন ভোগ করতে পারবেন।

৩. আর কেউ যদি আর কেউ যদি টানা ১০ বছর পেনশন স্কিমে টাকা জমা দেওয়ার আগেই মারা যায় তাহলে তার জমাকৃত অর্থ সুদ-আসলে নমিনি ফেরত পাবে।

৪. পেনশনধারী ব্যক্তির যদি বিশেষ প্রয়োজনে টাকার প্রয়োজন হয় তা স্কিমে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পরিমাণ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করতে পারবে।

৫. কেউ যদি ৫০ বছর বয়সের পরেও পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে চায় তার জন্য সে সুবিধা রয়েছে। তবে তাকে পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত স্কিমে টাকা জমা দিতে হবে।

যেমন একজন ব্যক্তি যদি ৫৩ বছর বয়সে পেনশন স্কিমে টাকা জমা দেওয়া শুরু করে তাহলে তাকে ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত স্কিমের টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরবর্তী মাস থেকেই পেনশন পেতে থাকবে। কিন্তু যারা ৫০ বছরের আগে পেনশন স্কিমের আওতায় আসবে তারা ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পরবর্তী মাস থেকেই পেনশন সুবিধা পাবে।

আপাতদৃষ্টিতে সর্বজনীন পেনশনের তেমন কোনো সুবিধা চোখে পড়ছে না। তবে পেনশনের অর্থ প্রাপ্তি ও দেশীয় মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে মানুষের মাঝে বেশ আলোচনা ও শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও দুর্নীতি নিয়েও শঙ্কার কথা জানাচ্ছে।

সর্বজনীন পেনশন হিসাব

সার্বজনীন পেনশন হিসাব

৬ ধরনের পেনশন স্কিম বা হিসাব চালুর প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত ৪টি হিসাব খোলার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা।

১. প্রবাস স্কিম: এই স্কিমের আওতায় শুধু প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকদের পেনশন সুবিধা দেওয়া হবে। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে কর্মরত থাকলে সে এই স্কিমে টাকা জমা দিতে পারবে।

এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক না। কারো জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে পাসপোর্ট দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। তবে যতটা দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষের নিকট জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

প্রবাস স্কিমের আওতায় ৩টি ভিন্ন ভিন্ন চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন চাঁদার পরিমাণ ৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রাপ্তির পরিমাণও ভিন্ন। এ সম্পর্কে নিচের অংশে বিস্তারিত উল্লেখ করা হবে।

২. প্রগতি স্কিম: যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে প্রগতি পেনশন স্কিমটি তাদের জন্য। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক তার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য এই পেনশনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে পেনশনে মাসিক চাঁদার অর্ধেক প্রতিষ্ঠান বা মালিক এবং বাকি অংশ কর্মকর্তা, কর্মচারী দেবে।

প্রগতি স্কিমের সর্বনিম্ন চাঁদার পরিমাণ ২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩. সুরক্ষা স্কিম: যারা স্ব-কর্মে কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত আছে তারা সুরক্ষা পেনশন স্কিম সুবিধা নিতে পারবে।

অর্থাৎ ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, ফ্রিল্যান্সার এই স্কিমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এই স্কিমের সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ মাসিক চাঁদা ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪. সমতা স্কিম: বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষও যেন এই সর্বজনীন পেনশন সুবিধার আওতায় আসতে পারে তার জন্য সমতা স্কিমটি চালু করা হয়েছে।

মূলত নিম্ন আয় কিংবা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নাগরিকদের বৃদ্ধকালীন সময়ে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে এই স্কিম।

এখানে একটিই মাসিক চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলো ১ হাজার টাকা। তবে এর অর্ধেক অর্থাৎ ৫০০ টাকা দেবে সরকার এবং বাকি ৫০০ টাকা দেবে পেনশনধারী ব্যক্তি।

আপনার জন্য আরও কিছু প্রয়োজনীয় লিংক

সার্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন

এতক্ষনে Universal Pension Scheme বা সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কে নানান তথ্য জেনেছি। আসুন এবার জেনে নিই কিভাবে সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন করবেন।

দুইভাবে পেনশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। একটি অনলাইনের মাধ্যমে এবং অন্যটি সোনালী ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের সকল শাখায় পেনশন হিসাব খোলার সুবিধা চালু করা হিয়েছে। তবে নিচের অংশে অনলাইনে পেনশন হিসাব খোলার প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো।

ধাপ-১: রেজিস্ট্রেশন করুন

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd-এ প্রবেশ করে ‘পেনশনার রেজিস্ট্রেশন’ বাটনে ক্লিক করে প্রত্যয়নপত্রে সম্মত দিতে হবে। এজন্য ‘আমি সম্মত আছি’ বাটনে ক্লিক করুন। তবে ক্লিক করার আগে উপরের লেখাগুলো অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন।

এরপরে পেইজে পেনশনারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ও পেনশনের ধরণ নির্বাচন করে ‘পরবর্তী পেইজ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

কিছুক্ষণ আগে প্রদত্ত আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি OTP যাবে। সেটি এই টাইপ করে ‘পরবর্তী পেইজ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-২: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ

এই অংশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে। তবে এখানকার বেশিরভাগ তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে আপনার NID অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে।

বার্ষিক আয়ের পরিমাণ, পেশা, বর্তমান ঠিকানা সহ যেসব ঘর ফাঁকা থাকবে সেসব তথ্য পূরণ করুন। এরপর নিচে থাকে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৩: স্কিম তথ্য পূরণ

এই ধাপে স্কিম সম্পর্কিত তথ্য পূরণ করতে হবে। স্কিমের ধরণ, মাসিক চাঁদার পরিমাণ, চাঁদা পরিশোধের ধরণ অর্থাৎ মাসিক, ত্রৈমাসিক নাকি বার্ষিক ভিত্তিতে চাঁদা পরিশোধ করতে চান তা নির্বাচন করে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৪: ব্যাংক তথ্য পূরণ

এই অংশে পেনশনারের ব্যাংক একাউন্টের তথ্য প্রদান করতে হবে। এজন্য সঠিকভাবে ব্যাংকের নাম, শাখা, রাউটিং নাম্বার, ব্যাংক একাউন্টের নাম, নাম্বার ও ধরন পূরণ করুন।

এবার নিচের অংশে থাকা ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ব্যাংক একাউন্টটি অবশ্যই পেনশনধারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে খোলা হতে হবে।

ধাপ-৫: নমিনির তথ্য পূরণ

এই ধাপে পেনশনার মারা যাওয়ার পরেও যে ব্যক্তি তার অর্থ প্রাপ্তির অধিকার রাখবে অর্থাৎ নমিনি যে হবে তার তথ্য প্রদান করতে হবে।

প্রথমে নমিনির পরিচয়পত্রের ধরন (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট) নির্বাচন করে পরিচিতি নম্বর ও জন্ম তারিখ টাইপ করুন। এরপরে ‘নমিনি যুক্ত করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

উক্ত বাটনে ক্লিক করার পরে নমিনির আংশিক তথ্য দেখা যাবে। এখন বাকি তথ্যগুলো পূরণ করে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনি চাইলে একাধিক নমিনি যুক্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘আরও নমিনি যুক্ত করুন’ বাটনে ক্লিক করে একই প্রক্রিয়ায় আরও নমিনি যুক্ত করুন।

ধাপ-৬: আবেদন জমাদান

এই পর্যায়ে পেনশনারের সকল তথ্য সম্বলিত একটি পূর্নাঙ্গ আবেদন ফরম দেখা যাবে। চাইলে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। এজন্য ‘সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোড করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা তা দ্বিতীয়বার মিলিয়ে নিন। কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে পূর্ববর্তী ধাপে ফিরে তা সংশোধন করতে পারবেন।

আবেদনটি চূড়ান্তভাবে জমা দিতে সম্মতি বাটনে টিক মার্ক দিয়ে ‘আবেদন সম্পন্ন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৭: পেমেন্ট প্রদান

এই ধাপে পূর্বে নির্বাচন করা চাঁদার পরিমাণ ও পরিশোধের ধরণ দেখতে পাবেন। সে অনুযায়ী আপনার প্রথম চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।

এজন্য ‘পেমেন্ট করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। এখানে ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চাঁদার অর্থ পরিশোধ করা যাবে। আপনার পছন্দের পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

পেমেন্ট সম্পন্ন হলে প্রথম ধাপের পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৮: ইউজার আইডি তৈরি

‘পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড’ বাটনের ঠিক নিচে ‘ইউজার তৈরি’ নামের আরেকটি বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।

পরবর্তী পেইজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ইউজার আইডি ইনপুট হয়ে যাবে। এটি পরিবর্তন করা সুযোগ নেই। নিচের অংশে ইউজার পাসওয়ার্ড ইনপুট করতে হবে।

পাসওয়ার্ডটি কমপক্ষে ৬ সংখ্যার হতে হবে। পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে ‘ইউজার তৈরি করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি সফলভাবে Universal Pension Scheme এর সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পেরেছেন।

পরবর্তীতে এই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার প্রোফাইলে লগিন করতে পারবেন এবং চাঁদা পরিশোধ, তথ্য পরিবর্তন সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য User ID ও Password মনে রাখবেন বা কোথায় লিখে রাখবেন।

সর্বজনীন পেনশনের মাসিক জমার ও প্রাপ্তির পরিমান

সকল ধরনের পেনশন স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমান ও প্রাপ্তির পরিমাণ নিচের ছবিতে উল্লেখ করা হলো। এছাড়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানতে এখানে ক্লিক করুন

ইতিকথা

সর্বজনীন পেনশন সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে একটি দারুণ উদ্যোগ। বিশ্বের অনেক দেশেই এই সেবাটি অনেক আগে থেকে চালু আছে। তবে দেরিতে হলেও বাংলাদেশে এটি চালু হয়েছে।

মোট ৬টি স্কিমের প্রস্তাবনা দাখিল করা হলেও এখনও পর্যন্ত শুধু ৪টি চালু হয়েছে। বাকি ২টি স্কিম খুব শীঘ্রই চালু হবে আশা করা যাচ্ছে।

আজকের ব্লগে সর্বজনীন পেনশন কি, কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন তার বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনাদের আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্টে জানাতে পারেন।

সেসব প্রশ্নের আলোকে আমরা আরেকটি পূর্ণাঙ্গ ব্লগ প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। ততক্ষণে ভালো থাকবেন।

Leave a Reply