ডার্ক চকলেটের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন

ডার্ক চকলেটের উপকারিতা

ডার্ক চকলেটের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন

ডার্ক চকলেটের উপকারিতা আমরা অনেকেই জানতে চাই ছোট বড় সবাই আমরা কম বেশি চকলেট পছন্দ করি বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কালার চকলে পছন্দ, সভ্যতার কাল ক্রমে চকলেটে এসেছে অনেক পরিবর্তন, আগের থেকে এখন বিভিন্ন রকমের, স্বাদের ও কালার এর চকলেট পেয়েছি আমরা।

তবে আমরা কি জানি যে কোন কালার চকলেট এর কেমন গুণাগুন ও উপকারিতা,যদি জেনে না থাকি তাহলে অবশ্য জানার দরকার আজকে আলোচনা করবো ডার্ক চকলেটের উপকারিতা কি কি

একটি জরিপে দেখা গেছে যে প্রতি ২০ গ্রাম ওজনের তেতো স্বাদযুক্ত একটি ছোট ডার্ক চকলেট প্রতি তিনদিন পরপর গ্রহন করলে তা আমাদের হ্দপিন্ডের জন্য উপকার বয়ে আনে ৷ তবে অতিরিক্ত বা বেশি পরিমানে ডার্ক চকলেট গ্রহন করলে তা শরীরের জন্য মোটেও সূফল বয়ে আনে না বরং খারাপও হতে পারে ৷

ডার্ক চকলেটের পুষ্টি গুন

ডার্ক চকলেটে মানব শরীরের জন্য উপকারি আঁশ ও খনিজ পদার্থে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে কি কি উপাদান থাকে না নীচে দেয়া হলো।

১। আয়রন—- দেহের মোট চাহিদার ৬৭%
২। আঁশ — দেহের মোট চাহিদার ১১ গ্রাম
৩। ম্যাগনেসিয়াম — দেহের মোট চাহিদার ৫৮%
৪। ম্যাংগানিজ — দেহের মোট চাহিদার ৯৮%

১) ডার্ক চকোলেট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে  ৷
২) শরীরের ক্যান্সারের ঝূকি কমায় ৷
৩) হার্ট কে সুস্থ রাখে
৪) হ্দরোগের হওয়া থেকে দূরে রাখে
৫) বয়স বৃদ্ধির ফলে চামড়াতে ভাঁজ পড়ার হার কম করে
৬) রক্তে শর্করার পরিমান ও ইনসুলিনের পরিমান  ঠিক রাখে ৷
৭) চোখের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে
৮) উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক এর ঝুকি কমায় ৷
৯) কোনোকিছু ভুলে যাওয়া বা আলঝিমার্স রোগ এর ঝুঁকি কমায়
১০) টাইপ-২ ডায়বেটিকসের ঝূকি কমাতে সাহায্য করে
১১) ব্যাথা ও মাইগ্রেনের উপশম করে ,ইত্যাদি এছাড়াও ডার্ক চকলেটের অনেক উপকারিতা আছে ৷

ডার্ক চকলেটের আরো কিছু উপকারিতার কথা না বললেই নয়

এতে আছে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্টে এবং চকলেট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তাই এটা হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। কোকোয়া ফ্লাভিনয়েডে ভরপুর তাই অতি বেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বক কে সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের কার্যক্রম উন্নত করে নিয়মিত চকলেট খেলে আমাদের শেখার সক্ষমতা বাড়ে।

চকলেট তৈরির উপাদান
চকলেট তৈরির উপাদান

চকলেট তৈরির উপাদান

কোকোয়া গাছের বীজ থেকে চকলেট তৈরি হয়। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার কোকোয়া গাছ বেশি পাওয়া যায়। মধ্য আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশে এর চাষ ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে । পরবর্তীতে আফ্রিকার আইভরি কোস্ট, ক্যামেরুন, ঘানা,ও নাইজেরিয়াতে এর চাষ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নিউগিনিতে কোকোয়া চাষের সূচনা হয়। দক্ষিণ ভারত ও উড়িষ্যা রাজ্যেও কোকোয়া চায় দেখা যায়।

এই কোকোয়া গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Theobroma cacao। কোকোয়া গাছ লম্বায় খুব বেশি বড় হয় না। এ গাছের পাতা গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে থাকে। কাণ্ড ও ডালে সাদা ও গোলাপি রঙের ছোট ছোট, থোকা থোকা ফুল ফোটে সেই ফুল থেকেই কোকোয়া পাওয়া যায় যা থেকেই মুলত চকলেট এর কাঁচা মাল তৈরি হয়।

কোকোয়া পাকার পর মেটে লাল বা হলুদ রং ধারণ করে। এর ভেতরে ছোট ছোট বীজ থাকে। কোকোয়ার বিজ শুকিয়ে গুড়ো করা হয়, এই গুড়ো থেকেই তৈরি হয় ডার্ক চকলেট। তবে চকলেট তৈরিতে আরও কিছু উপাদান লাগে যেমন দুধ, চিনি। মোট কথা হোলও কোকোয়া বিজের গুড়ো, দুধ, চিনি আরও কিছু ফ্লেভর মিশিয়েই তৈরি হয় ডার্ক চকলেট।

ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়ম

যাদের শরিলে সুগার বেশি তারা একটা বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে  হবে আর তা হলো বেশি চকলেট না খাওয়া হয় , আর অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।

অভিজ্ঞদের মতে, দিনে ২-৩ বার এর বেশি ডার্ক চকলেট খাওয়াটা শরিলের জন্য ঠিক হবে না

কারণ একেক রকম চকলেট তৈরি হয় একেক রকম উপধান দিয়ে, তাই সব চকলেটই শরিলের জন্য স্বাস্থকর বা উপকার হবে এমনটা ভাবা মোটেও ঠিক হবে না।

যে কোন কিছুই পরিমান মতো খাওয়া উচিৎ। প্রয়োজনের বেশি কোন কিছুই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না।

তাহলে আজ ডার্ক চকলেটের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে

কোন মতামত থাকলে জানাবেন।

Leave a Reply