আসসালামু আলাইকুম, স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের কালোজিরা তেলের উপকারিতা সম্পর্কিত নতুন আর্টিকেলে। আমরা সবাই জানি, প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের বিরুদ্ধে কালোজিরার ব্যবহার হয়ে আসছে।
এজন্য কালোজিরাকে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের প্রাকৃতিক মহৌষধও বলা হয়ে থাকে। কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে বলা শুরু করলে এর ইতি টানা মুশকিল। কালোজিরা যদি এত উপকারী হয় তাহলে নিশ্চয়ই কালোজিরার তেলও সমান উপকারী।
কালোজিরার মতো কালোজিরার তেলও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আজকে আপনাদের কালোজিরার উপকারিতা, ব্যবহার বিধি, কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
চৌদ্দশ বছর পূর্বে আমাদের রাসূল (স:) স্বয়ং বলে গেছেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ।
এ বিষয়ে বর্তমানে গবেষকেরাও একমত। গবেষকেরাও স্বীকার করছে যে কালোজিরা ব্যাপক ঔষধি গুণ সম্পন্ন। কালোজিরার তেলে রয়েছে ১০০টির অধিক পুষ্টি গুণাগুণ। যেগুলোর মধ্যে ৩৮% কার্বোহাইড্রেট, ২১% প্রোটিন এবং ৩৫% ভেষজ তেল ও ফ্যাট। এগুলো রক্তে কলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী।
কালোজিরা তেল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে যেসব উপকার করে থাকে সেগুলো এক নজরে দেখে নিই।
- ব্রেনে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
- চুল পড়া রোধ করে ও চুল গজাতে সাহায্য করে।
- জ্বর, সর্দি প্রতিরোধ করে।
- এলার্জি জনিত সমস্যা যেমন হাঁচি কাশি নিরাময় করে।
- এ্যাজমা প্রতিরোধ করে।
- ফুসফুসজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।
- বাত ব্যাথা প্রতিরোধ করে
- চর্ম জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে।
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা রোধ করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ক্যান্সার, হার্ট-অ্যাটাক, জন্ডিস, লিভার জনিত রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
- মাথা ব্যাথা উপশম করে।
- ব্লাড প্রেসার কমিয়ে থাকে।
- হাঁপানিজনিত সমস্যা দূর করে।
- পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি করে।
কালোজিরা তেলের ব্যবহার বিধি
কালোজিরা তেল আমরা আমাদের অসংখ্য শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে একেকটা সমস্যার জন্য কালোজিরা তেলের ব্যবহার প্রক্রিয়াটাও ভিন্ন হয়ে থাকে। সেগুলোই এখন আমরা জানব।
এলার্জি জনিত সমস্যায়: এলার্জি জনিত সমস্যা যেমন: হাঁচি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে ১ চা চামচ কালোজিরা তেলের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে অথবা ১ কাপ রঙিন চায়ের সাথে হাফ চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। এতে হাঁচি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: কালোজিরা নিয়মিত খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে। এতে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জন্যও প্রতিদিন ১ কাপ চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে পান করুন।
চর্মরোগ প্রতিরোধে: চর্মরোগ নিরাময়ে কালোজিরা ভীষণ উপকারী। এক্ষেত্রে আপনার চামড়ার সমস্যার জায়গা ভালো ভাবে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে কালোজিরা তেল লাগাবেন। এছারাও, প্রতিদিন এক গ্লাস শরবত বা চায়ের সাথে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে নিয়মিত খাবেন।
চুলের সমস্যা প্রতিরোধে: চুলের সমস্যা রোধে মাথায় নিয়মিত কালোজিরা তেল লাগান। এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং টাক স্থানে চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, চুলের রুক্ষভাব দূর করে। প্রয়োজনে কালোজিরা নিয়মিত খান।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে: ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহে ২-৩ দিন কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন। তাছাড়াও, কালোজিরা তেল সারা শরীরে মেখে সূর্যের তাপ গ্রহণ করুন।
হার্টের সমস্যা রোধে: হার্টের সমস্যা রোধে এক গ্লাস দুধের সাথে ১চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। প্রয়োজনে বুকে কালোজিরা তেল মালিশ করুন।
মাথা ব্যাথাা দূর করতে: মাথা ব্যাথা দূর করতে কালোজিরার তেল দারুণ কাজ করে। এজন্য আমাদের কালোজিরার তেল কপালে এবং কানের উপরের দুই পাশে লাগিয়ে মালিশ করতে হবে। প্রয়োজনে মাথার তালুতেও ব্যবহার করতে পারেন।
যৌনশক্তি বাড়াতে: যৌনশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। এজন্য প্রতিদিন সকালে মধুর সাথে বা দুধের সাথে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন।
ওজন কমাতে: যারা নিজেদের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত তারাও ওজন কমাতে কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন কুসুম গরম পানির সাথে মধু, লেবুর রস এবং কালোজিরা গুঁড়া অথবা ১চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা অল্পদিনেই দূর হবে।
জ্বর নিরাময়ে: জ্বর নিরাময়ে কার্যকরী এক উপায় হলো কালোজিরা অথবা কালোজিরার তেল। জ্বর অবস্থায় লেবুর রসের সাথে ১ টেবিল চামচ কালোজিরার তেল নিয়ে খেয়ে ফেলুন টানা কয়েকদিন। তাহলে দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
কালোজিরার তেল মালিশ
কালোজিরার তেল আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এই তেল শরীরে বিভিন্ন সমস্যাগ্রস্ত জায়গায় যেমন- ফোঁড়া-ঘা স্থলে, বুকে, বাত ব্যাথার জায়গায়, মাথায়, কপালে এবং সারা শরীরে মালিশ করলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আমাদের নিয়মিত ভাবে কালোজিরার তেল মালিশ করা যেতে পারে
কালোজিরার তেল মাথায় দিলে কি হয়?
কালোজিরার তেল মাথায় দিলে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং মাথার টাক স্থলে তেল লাগিয়ে রাখলে চুল গজায়। এছাড়াও, চুলের আগাফাটা এবং রুক্ষভাব দূর করে চুলকে করে তোলে সিল্কি, স্মুদ এবং কালো।
কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম প্রসঙ্গে আগেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনার সমস্যা বুঝে উপরের ব্যবহার বিধি অনুযায়ী কালোজিরার তেল পরিমিত খান।
তবে আপনারা যারা বিভিন্ন রোগের জন্য ওষুধ সেবন করেন তারা কালোজিরার তেল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিবেন।
তাছাড়া, সব ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই প্রচলিত ধরণ হলো চা, শরবত কিংবা দুধের সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করুন।
আরো পড়ুন: সুস্বাদু রসুনের আচার তৈরির নিয়ম
কালোজিরা তেলের দাম
কালেজিরার তেলের দাম একেক দোকানে ২০-৩০ টাকার পার্থক্য দেখা যায়। তবে, এটা বলা যায় মোটামুটি ২০০০ টাকায় ১ কেজি কালোজিরার তেল পাওয়া যাবে।
তবে এই দাম কালিজিরা তেলের উপকারিতা এর তুলনায় বেশ কম। যেখানে আমরা ২০০ মি.লি. ভিটামিন সিরাপ কিনতে ৪০০-৫০০ টাকা ব্যয় করি সেখানে ২০০ গ্রাম কালোজিরার তেল কিনতে ৫০০ টাকা ব্যয় করাই যায়।
কালোজিরা তেল কোথায় পাওয়া যায়
বিভিন্ন সুপার শপ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মুদি দোকানে কালোজিরার তেল পাওয়া যায়। এছাড়া কালোজিরা তেল এখন বিভিন্ন অনলাইন শপে পাওয়া যায়।
তবে সেগুলো যে অর্গানিক এবং ভেজালমুক্ত হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। তবে উৎকৃষ্ট দানা থেকে তৈরি শতভাগ খাঁটি কালোজিরা তেল পাবেন আমাদের কাছে খুব শীঘ্রই সেই আপনাদে প্রাপ্তি স্থান জানিয়ে দেয়া হবে তাই আমাদের সাথেই থাকুন।
কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরার তেলের মতো কালোজিরাও সমান উপকারী। কালোজিরাতে রয়েছে থাইমোকুইন, কারভাক্রল, ট্যানেথল ইত্যাদি আ্যন্টি-অক্সিডেন্টসহ আরও বিভিন্ন ম্যাগনেসিয়াম,জিংক, কপার, ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
এছাড়াও, কালোজিরা ক্ষতিকর এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে উপকারী এইচডিএল বাড়ায়।
কালোজিরার উপকারিতাও অনেক রয়েছে। যেমন-
- হাঁপানি, এ্যাজমা ইত্যাদি ফুসফুসজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- এলার্জিক রাইনাইটিস সহ বিভিন্ন ধরনের এলার্জি জনিত সমস্যা এবং সর্দি-জ্বরের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
- বাত ব্যাথা দূর করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- শরীরকে সতেজ রাখে।
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
- শরীরের ত্বক সুস্থ রাখে।
- মাথা ব্যাথা দূর করে।
- হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।
- চুলের গোড়া শক্ত করে চুলকে সুন্দর করে তোলে।
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- যৌনশক্তি বাড়ায়।
কালোজিরার তেলের মতো কালোজিরাও একইধরনের উপকার করে থাকে। নিয়মিত কালো জিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবো।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা বিভিন্ন সমস্যার জন্য বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। কালোজিরা তেলের উপকারিতা পরিপূর্ণভাবে পেতে হলে এটি সঠিক নিয়মে খেতে হবে। প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম দেয়া হলো-
- কালোজিরা ভর্তা হিসেবে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন।
- তরকারিতে ফোড়ন হিসেবে কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রতিদিন সকালে সামান্য কিছু কালোজিরা খালি পেটে চিবিয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
- সকালে কালোজিরার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- দুধের সাথে অথবা চায়ের সাথে কালোজিরা খেতে পারেন।
- অতিরিক্ত সর্দিতে কালোজিরা পরিষ্কার কাপড়ে পুটলি বেধে নাকে এর গন্ধ শুকতে পারেন। এতে শ্লেষ্মা তরল হয়।
- গরম গরম খিচুড়ির সাথে খেতে পারেন কালোজিরার ভর্তা, আর খিচুড়ি রান্নার রেসিপি শিখে নিতে পারেন
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। যেমন-
- মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।
- অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দূর করে।
- ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
- চামড়ার রোগ নিরাময় করে।
- দাঁতের ব্যাথা কমায়
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বাত ব্যাথাসহ অনেক ধরনের ব্যাথা কমায়।
- শরীরের গঠন মজবুত করে।
- গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দূর করে।
- হজম ক্রিয়া বাড়ায়।
- পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধ করে।
- চুল ভালো রাখে ইত্যাদি।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়?
কালোজিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কালোজিরার পরিমাণ হবে পরিমিত। কারণ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না।
কালোজিরা প্রতিদিন খেলে উপকার হবে এটা অবশ্যই সত্যি। কিন্তু যাদের কালোজিরা সহ্য হয়না যেমন- এটি খেলে এলার্জি সমস্যা হয়, বদহজম হয়, বমি পায় ইত্যাদি তাদেরকে অবশ্যই নিজের শরীরের সহ্য সীমার মধ্যে খেতে হবে।
তাছাড়া গর্ভবতী মায়েদের এবং যে মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধ পান করায় তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়ার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
এছাড়াও রক্তজনিত সমস্যা যাদের আছে তারা এটি এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ এটা শরীরে রক্তক্ষরণসহ আরও সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যাদের লো প্রেসার তারাও এটি এড়িয়ে চলবেন কারণ কালোজিরা হাই প্রেসার কমিয়ে থাকে। আর আপনার যদি হয় লো প্রেসার তাহলে সেটি আরও কমাতে কমাতে বিপদজনক অবস্থা তৈরি হতে পারে।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সবথেকে বেশি। কারণ সকালে খালিপেটে খেলে পেটের গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা তাড়াতাড়ি রোধ করে। শরীর দ্রুত পুষ্টি উপাদান শোষন করে শরীরকে সতেজ করে এবং সারাদিনে কাজে শক্তি যোগায়।
খালিপেট কালোজিরা খেলে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও কালেজিরা যেসব উপকার শরীরে করে থাকে সেসব কাজ খুব দ্রুত হয় যদি কালোজিরা খালিপেটে সকালে খাওয়া যায়।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়?
রাতে কালোজিরা খেলে আমরা দুশ্চিন্তামুক্তভাবে ঘুমোতে যেতে পারি। এছাড়াও আমাদের রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। পাকস্থলীতে খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
আশা করবো কালোজিরা তেলের উপকারিতা ও এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কিত আমাদের এই লেখাটি আপনাদের উপকারে আসবে।
মনে রাখবেন, খাঁটি কালোজিরা বা এর তেল যেমন আপনার জন্য উপকারী তেমনি ভেজাল তেল আপনার জন্য বিষের সমতুল্য। তাই সঠিক পন্যটি বেছে নিতে ভুল করবেন না।
No Responses